এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর ধর্না নাটক বৃথা, একেই বলে অনভিজ্ঞ নেতা! ঘাসফুলকে চাপে ফেলে সোচ্চার বিজেপি!

ভাইপোর ধর্না নাটক বৃথা, একেই বলে অনভিজ্ঞ নেতা! ঘাসফুলকে চাপে ফেলে সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজনীতি করতে হলেও সৌজন্যতা পালন করে তা করতে হয়, প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে এমন কিছু বলা বা করা উচিত নয়, যাতে সেই রাজনৈতিক নেতাকে নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। কিন্তু যুবরাজ এই সমস্ত কিছুকে অবশ্য পাত্তা দেন না। তিনি সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে চলে নিজের মন খেয়াল খুশির মত যা করবেন, সেটাই যেন ঠিক পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। তাই কিছুদিন আগেই বকেয়ার দাবিতে যে ধর্না করেছিলেন তিনি, তার মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ফোন নম্বর দিয়ে তাকে ফোন করে একশো দিনের টাকা দাবি করুন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কার্যত অসভ্যতাই বলতে শুরু করেছিল বিরোধী দলের সকলে। কিন্তু যুবরাজ অবশ্য তাতে কান দেন না তিনি মনে করেন তিনি যা করেছেন সেটাই ঠিক। তবে অবশেষে তিনি যে ধর্না দিচ্ছিলেন, তার নাটক শেষ হলো। কিন্তু যতই তিনি এসব করে হিরো হওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, দিনের শেষে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে অত্যন্ত অনভিজ্ঞ নেতা। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি তো পিসির দয়ায় রাজনীতি করতে করতে উঠেছেন। কাজেই উনি জানেন না, শিষ্টাচার কি। আমার কাছেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বর ছিল। কিন্তু আমি তা দিইনি। কারণ আমি জানি, ওনার পরিবারে ওনার স্ত্রী আছে, দুটো বাচ্চা আছে। এভাবে কারওর ফোন নম্বর দিলে তিনি বিব্রত বোধ করতে পারেন। এটা তো অন্য কোনো ভাবে আসে না। এটা তো পারিবারিক শিক্ষার মধ্যে দিয়ে আসে।” আর এখানেই একাংশ বলছেন, যুবরাজের উদ্দেশ্যে একদম মোক্ষম জবাব দিয়েছেন সুকান্তবাবু। সত্যিই তো, রাজনীতি করবেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে কি ধরনের রুচি বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এই রাজনৈতিক শিক্ষাই কি তার পিসি তাকে দিয়েছেন? ব্যক্তিগতভাবে কাউকে বিপাকে ফেলা, কাউকে সমস্যার মধ্যে ফেলাই কি অভিষেকবাবুর রাজনৈতিক কৌশল! নাকি ধরনা করেও কোনোভাবেই হিরো হওয়া যাচ্ছে না জন্য ব্যক্তিগতভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নম্বর দিয়ে তিনি নিজে হিরো সাজতে চেয়েছিলেন? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

বিজেপির দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজনীতিতে নেতা হিসেবে এখনও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। তিনি নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এভাবে নেতা হওয়া যায় না। একজন নেতার মার্জিত, রুচিসম্পন্ন বোধ থাকা প্রয়োজন। ভেবেছিলেন তিনি আন্দোলন করে উঠে আসছেন, এমন একটা চিত্র তৈরি করার চেষ্টা করবেন। পাঁচ দিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় তিনি ভেবেছিলেন যে, তাকে বাংলার মানুষ প্রকৃত নেতা হিসেবে মনে করবেন। কিন্তু তিনি আর শুভেন্দু অধিকারী তো এক নন। বিরোধী আমলে রাজনীতি করার তো কোনো অভিজ্ঞতা নেই যুবরাজের। বরঞ্চ সেই মঞ্চ থেকে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির নম্বর দিয়ে এমন একটা কাণ্ডকলাপ করে বসলেন, যাতে নেতা তো অনেক দূরের কথা। তার দূরদর্শিতা নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। তাই একদিকে ধর্নার নাটক যেমন সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছেন, ঠিক তেমনই অনভিজ্ঞ নেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি সামনে চলে এসেছে বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজভবনের অদূরে 144 ধারার মধ্যে যে ধর্না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, তার কি সত্যিই কোনো যৌক্তিকতা রয়েছে? তাও ভাবা যেত, যদি তিনি মানুষের কথা বলতেন। কিন্তু নিজেরা চুরি করেছেন, নিজেরা দুর্নীতি করেছেন, আবার নিজেদের চুরি ঢাকতেই ধরনা দিচ্ছেন! সামান্য একটা হিসেব দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তারা ধর্না দিয়ে মানুষের চোখে ঠুলি পরিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এত বোকা নয়। তারা সব বুঝতে পারছেন। তারা বুঝতে পারছেন যে, এই দলের নেতারা তাদের টাকা চুরি করেছে জন্যেই কেন্দ্রীয় সরকার হিসেব চাইছেন। কিন্তু হিসেব দেওয়ার মুরোদ নেই বাংলার শাসক দলের। তাই এই আন্দোলন করে যুবরাজ ভেবেছিলেন, তিনি হিরো হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিরো হয়ে গেলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!