এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধর্না শেষ করে পালাতে বাধ্য হলেন ভাইপো? যুবরাজের চালাকি ধরে ফেললেন শুভেন্দু!

ধর্না শেষ করে পালাতে বাধ্য হলেন ভাইপো? যুবরাজের চালাকি ধরে ফেললেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাঁচদিনের ধর্ণার নাটক শেষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন যে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাই তারা আপাতত এই ধর্না তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু কোনোরকম চাপ ছাড়াই কি এই ধর্না তুলে নিলেন বাংলার যুবরাজ নাকি? নাকি সুযোগ পেলে তিনি আরও কিছুদিন এই কলকাতার রাজপথে বসে থাকতেন! নিজের নাটকটা বাংলার মানুষকে দেখাতেন! বোঝাতেন যে, তিনি নেতা হচ্ছেন! বিরোধীরা বলছেন, সুযোগ পেয়ে সুযোগের ব্যবহার করবে না তৃণমূল কংগ্রেস, এটা হতেই পারে না। ভাইপোর আরও বেশ কিছুদিন এই রাজপথে বসে নাটক করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিপদ বুঝে এবং বিরোধী দলনেতা যেভাবে চেপে ধরেছেন, তাতে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আলোচনা হয়েছে বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করলেন যুবরাজ। শেষমেশ এই ধর্না ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন তিনি। আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যুবরাজের এই চালাকিটা ধরে ফেলেছেন। ভাইপো মুখে বলছেন, আলোচনা হয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে। তাই তিনি ধর্না তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব যে একেবারেই আলাদা, এবার তার ভয়াবহ তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে 20 মিনিট বৈঠকের পর মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন যে, তারা এই ধর্না তুলে নিয়েছেন। তারা রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছুদিন সময় দিচ্ছেন। যদি তাদের দাবি না মেটে, তাহলে তারা নভেম্বর মাসের 1 তারিখ থেকে আবার এই ধর্না করবেন। কিন্তু অনেকে বলছেন, যদি আলোচনা নাও হত, তাহলে অন্য কারণ দেখিয়ে সোমবারেই এই ধর্না তুলে নিতে বাধ্য হতেন তৃণমূলের যুবরাজ। কারণ তা না ছাড়া তার কাছে আর কোনো গতি ছিল না। সামনে পেয়েছেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি। তাই সেই বিষয়টি মিডিয়াকে খাওয়ানোর জন্য তিনি এই ধরনের কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তব একেবারেই আলাদা। এদিন সেই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তার হাত পা ধরেছে, সুযোগ খুঁজছে পালানোর জন্য। আমরা সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি। সোমবার ধর্না না উঠলে আমরা রাজভবনে যাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওরা উঠিয়ে নিচ্ছে। কারণ চাপে রয়েছে।”

গেরুয়া শিবিরের দাবি, দিনের শেষে একটা বিষয় মানতেই হবে যে, শুভেন্দু অধিকারীর দম রয়েছে। তিনি এমন একজন বিরোধী দলনেতা, যিনি তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে জানেন। স্পষ্ট ভাষায় তিনি রাজ্যপালকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই রাজ্যে তৃণমূলের জন্য এক আইন এবং বিরোধীদের জন্য আর এক আইন হতে পারে না। যেখানে 144 ধারা রয়েছে, সেখানে কি করে দিনের পর দিন তৃণমূল ধর্না করছে? আর তা সত্ত্বেও রাজ্যপাল তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন! কেন তা উঠিয়ে দিচ্ছেন না! ফলে চাপ যখন বাড়ছিল, তখন ভাইপো নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন, যদি আর একদিনও বেশি এই ধর্না চলে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বড় কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। আর তখন বাধ্য হয়ে রাজ্যপাল এমন কিছু করতে পারেন, যাতে ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মান, সম্মান খোওয়ানোর থেকে আগে থেকেই কোনো একটা কারণ দেখিয়ে সরে যাওয়া অনেক ভালো। তাই শেষ পর্যন্ত ধর্না তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন বাংলার যুবরাজ। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর জন্য বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো আর বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের মতো ধর্না মঞ্চে থাকেননি। গরম, মশা, মাছির কামড়, রোদের দাবদাহ এবং বৃষ্টির যন্ত্রণা তাকে সহ্য করতে হয়নি। তাই ধর্না মঞ্চে তিনি বেশ আরামেই ছিলেন। কিন্তু আরও কিছুদিন হয়তো থাকলে তার রাজনীতিতে নেতা হওয়ার পয়েন্টটা বাড়ত। তবে কি করবেন! রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম যে শুভেন্দু অধিকারী। তাই শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সুবিধাবাদী রাজনীতিটা ধরে ফেলেছেন। ধর্ণা মঞ্চ আর একদিন বেশি রাখলে যে বিপদ হতে পারে, তা বুঝতে পেরেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন যুবরাজ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!