এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিল্লি হাইকোর্টের মামলায় বড়সড় স্বস্তি অভিষেক ব্যানার্জীর – জানুন বিস্তারিত

দিল্লি হাইকোর্টের মামলায় বড়সড় স্বস্তি অভিষেক ব্যানার্জীর – জানুন বিস্তারিত


তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলে পরিচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অনেকদিন আগেই তাঁকে আদালতে তলব করা হয়েছিল। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র সোরগোলও উঠেছিল। কিন্তু এবার সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড়সড় স্বস্তি দিয়ে তার ব্যক্তিগত হাজিরায় স্থগিতাদেশ জারি করল জেলা ও দায়রা আদালত।

বস্তুত, ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী স্বার্থক চতুর্বেদী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি আইআইপিএম নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গত 2009 সালে এ এমবিএ ডিগ্রী পেয়েছেন।

আর এরপরই সেই প্রতিষ্ঠান দিল্লি হাইকোর্টে জানিয়েছে যে তারা ওই ডিগ্রী দেয় না – এই কথা তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল তথ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি আইনকে ভেঙেছেন বলে দাবি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সার্থক চতুর্বেদী। আর শীর্ষ আদালতের আইনজীবীর তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে তার সর্বাধিক 6 মাসের জেল এবং কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকী অপরাধ প্রমাণিত হলে সাংসদ পদও চলে যেতে পারে তৃণমূলের এই যুব নেতার। কিন্তু সেই সমস্ত আশঙ্কাকে দূরীভূত করে দিল্লির অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও এবার তার ব্যক্তিগত হাজিরা জেলা ও দায়রা আদালত স্থগিতাদেশের জারি করায় অনেকটাই স্বস্তি পেলেন সর্বভারতীয় যুব তৃনমূলের সভাপতি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ এই মামলায় অভিষেকবাবুর ছিল। কিন্তু তার আগেই গত সপ্তাহে এই ব্যাপারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারকের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেন যে, দিল্লির কোটের আওতার মধ্যে কখনও ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় কেন্দ্র পড়ে না। এমনকি যে ব্যক্তি অভিষেকবাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনিও ওই এলাকার ভোটার নয়।

আর তাছাড়া এতদিন পরে কেন এই মামলা করা হচ্ছে! সবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর কাছ থেকে সমস্ত কথা শুনে সেই জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অজয় কুহার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করে আগামী 23 সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। আর যার ফলেই এখন প্রবল স্বস্তি তৃণমূলের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে। তবে শেষ পর্যন্ত 23 সেপ্টেম্বরের শুনানিতে ঠিক কি হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!