এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেক দুর্নীতির অভিযোগ করতেই বিস্ফোরক শিশির, দুর্নীতির প্রশ্নে চাপে তৃণমূল!

অভিষেক দুর্নীতির অভিযোগ করতেই বিস্ফোরক শিশির, দুর্নীতির প্রশ্নে চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ হলেও, অধিকারী পরিবারকে কুপোকাত করা যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেদিক থেকে নন্দীগ্রামে অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে তথা প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হলেও, শুভেন্দু অধিকারীর কথা বাস্তব হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই এখন রীতিমত সেই অধিকারী পরিবারের চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। বস্তুত, দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতাও ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন এবং তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

তবে অতীতে সেচমন্ত্রী থাকা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। “ইয়াস” নামক ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর দীঘার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেই নাম না করে প্রাক্তন মন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বে থাকা বর্তমান বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে অধিকারী পরিবারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ। আর তার পরিবারকে আক্রমণ করার সাথে সাথেই এবার তৃণমূল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা সোচ্চার হলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গরীব মানুষের জন্য কাজ না করে নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে অধিকারী পরিবার। অধিকারী পরিবারকে ছাড়া হবে না। তদন্ত হবে। শাস্তি হবে। অধিকারী পরিবারের দুর্নীতির জন্য আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দারা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। আর এর পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে দেন শিশির অধিকারী।

এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের তো মিথ্যা কথা বলাই প্রধান কাজ। অভিষেক মিথ্যা বলছে। মিথ্যা বলাই অভিষেকের কাজ। রাজ্য সরকার তো সেইসময় তৃণমূলের ছিল। আর এখনও তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়। যাবতীয় কাজ করে তৃণমূলের লোকেরা। দুর্নীতি তৃণমূলের লোকেরা করেছে। আমিও চাই তদন্ত হোক। আর প্রকৃত চোরের শাস্তি পাক। অভিষেকের সঙ্গে যারা তাজপুরে পরিদর্শনে গিয়েছেন, সবাই তো বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সকলের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করুক। তারপরে দেখা যাবে কি হয়। তদন্ত হলে সব অভিষেকের লোকেরাই ধরা পড়বে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী যেমন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, ঠিক তেমনই দীঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন শিশির অধিকারী। আর ভয়াবহ বিপর্যয়ে দীঘার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরেই অধিকারী পরিবারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তারা কিভাবে কাজ করেছেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আর এবার মেদিনীপুরে গিয়ে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সেই অধিকারী পরিবারের চাপে রাখার চেষ্টা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দুর্নীতি হলে তৃনমূলের লোকেরাই ফাসবেন বলে দাবি করে বসলেন শিশির অধিকারী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলে দ্রুত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান তার যে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তা বিজেপিতে যোগদানের পর এই নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা। এদিকে তৃতীয়বার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে না আসতেই অধিকারী পরিবারকে চাপে ফেলতে সমস্ত রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর সেই দীঘার দায়িত্বে থাকা অধিকারী পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন অধিকারী পরিবারের বড় কর্তা শিশির অধিকারী। স্বাভাবিক ভাবেই অধিকারী বনাম বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত শান্তিকুঞ্জ নাকি শান্তিনিকেতন, কে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!