এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিজভূমে দাঁড়িয়ে অবশেষে ‘নেত্রীকে’ দিলেন বিশেষ বার্তা?ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে রহস্য

নিজভূমে দাঁড়িয়ে অবশেষে ‘নেত্রীকে’ দিলেন বিশেষ বার্তা?ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে রহস্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অবশেষে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব মিটতে চলেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর! এতদিন নেত্রী কিংবা দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব পালন করছিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট শীর্ষনেতা। বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও কোনোখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক দেখা যাচ্ছিল না। উল্টে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট কাউকে খোঁচা দিচ্ছিলেন শুভেন্দুবাবু। যাকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেনহ শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের আচরণ আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে নতুন কোনো জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাতে পারে। তবে অবশেষে এবার “নেত্রী” শব্দ উচ্চারণ করে আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুরের পঞ্চায়েতের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “আমাকে বললেন নেত্রী। আমি লড়াই করলাম।” আর দীর্ঘদিন পর শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে “নেত্রী” শব্দটি শুনতে পাওয়ায় নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, কিছুদিন আগে থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলেও কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের নাম উচ্চারণ করেছিলেন না তিনি। নিচ্ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। উল্টে “ক্ষমতার দম্ভ”, “লিফটে না ওঠা” এই সমস্ত শব্দ ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছিল এই তৃণমূল শীর্ষ নেতাকে। যার ফলে মনে করা হয়েছিল, দলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর। খুব দ্রুত তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু এবার অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও “নেত্রী” শব্দটি উচ্চারণ করায় তার সঙ্গে দলের দূরত্ব কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করছেন একাংশ।

 

জানা যায়, এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি নন্দীগ্রামের লড়াই করেছি। নেত্রী আমায় লড়তে বললেন, আমি লড়াই করেছি। তখনকার সরকার বলেছিল, আমরা 235। কেন 30 জনের কথা শুনব! কিন্তু এত পুলিশ, এত অর্থ, এত ক্ষমতা, এত অহংকার কোথায় গেল! মাত্র দেড় বছরের লড়াইয়ে সব ভেঙে তছনছ হয়ে গেল। মানুষ সব তছনছ করে দিয়েছে।” তবে বিশেষজ্ঞরা একাংশ বলছেন, “নেত্রী” শব্দ উচ্চারণ করলেও শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ক্ষমতার দম্ভের কথা বলে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের দিকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন।

অর্থাৎ তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, ক্ষমতায় থেকে অহংকার করলে মানুষ শেষ কথা বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব যে তৈরি হয়েছে, তা তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল। ক্ষমতার দম্ভের কথা তুলে ধরে তিনি যেমন নিজের দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতাদের বার্তা দিতে চাইলেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও “নেত্রী” শব্দটি বলে নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলেন বলেই দাবি একাংশের। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব মিটে গেল! নাকি নতুন করে তৈরি হল কোনো সংঘাতের আবহ! সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!