এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে ইডির এবারের ডাক অন্যরকম! কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত ? চর্চা শুরু !

অভিষেককে ইডির এবারের ডাক অন্যরকম! কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত ? চর্চা শুরু !

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ যাকে গ্রেফতার করার দাবি উঠছে গোটা রাজ্যজুড়ে, তাকে শুধু ডাকাডাকি করেই থেমে থাকছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের পক্ষ থেকে রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কিন্তু তারপরেও তাদের ঘুম ভাঙছে না। এই হেভিওয়েটের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিসের এত অলসতা? নাকি তাদের সঙ্গে সেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুবরাজের কোনো সেটিং রয়েছে? তবে নানা মহলে যখন ইডি, সমালোচনার শিকার হচ্ছে, ঠিক তখনই তারা আবার হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠালো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এবারে এই নোটিশ কিছুটা অন্যরকম। এতদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে এবার বহু চর্চার চর্চিত বিষয়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে ডেকে পাঠানো হলো তাকে।

প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু বলে পরিচিত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্সের তথ্য উঠে আসে। পরবর্তীতে তা নিয়ে বহু জলঘোলা হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই কোম্পানির সিইওর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। অবশেষে সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হলো। অনেকে বলছেন, সম্প্রতি এই ব্যাপারে আদালতে ভর্ৎসনার শিকার হইতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই কোম্পানির সিইওর কোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য না দেওয়ার কারণে তাদেরকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। বিচারপতি অমৃতার সিনহাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিরোধীদের দাবি, যতদূর মনে করা হচ্ছে, এবার ইডি কিছু একটা করবে। কারণ এর পরেও যদি তারা কিছু না করে, শুধু ডাকাডাকি করেই ভাইপোকে ছেড়ে দেয়, তাহলে তাদের সম্পর্কে মানুষের ভরসা উঠে যাবে। এমনিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠছে। মানুষ আর ডাকাডাকি করার প্রক্রিয়াকে দেখতে পারছেন না। এখন তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন যে, গ্রেপ্তার কবে হবে? কবে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ! আর যদি তা নাই করা হয়, তাহলে ডাকাডাকিও বন্ধ করে দেওয়া হোক। কার্যত তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিয়ে এই রাজ্য থেকে বিদায় নিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত যেখানে চেষ্টা করছে অভিযুক্তকে ধরতে, সেখানে তাদের কেন এত ঢিলেঢালা মনোভাব?

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচারালয় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে ইডি সম্পর্কে একটা প্রশ্ন উঠছে। তাই এবার নিজেদের বিশ্বাস ফেরাতে তারা এমন কিছু একটা করবে, যার ফলে মানুষ তাদের আবার বিশ্বাসের জায়গাটা ফিরিয়ে দেয়। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি করবে, তা তারাই বলতে পারবেন। একটা মানুষ যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাকে এতবার কেন জেরা করতে হচ্ছে? তারা তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা তো কিছু সময় কথা বললেই আসল সত্যটা ধরে ফেলতে পারেন। কিন্তু তারপরেও কেন এত ন্যাকামো? যদি তারা সত্যিই দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে চান, তাহলে এবার অন্তত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় আগামী 3 তারিখ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!