এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অবশেষে বাংলায় খুব শীঘ্রই খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ? সামনে এল বড়সড় তথ্য, জানুন বিস্তারিত ভাবে

অবশেষে বাংলায় খুব শীঘ্রই খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ? সামনে এল বড়সড় তথ্য, জানুন বিস্তারিত ভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ আছে রাজ্যের স্কুল-কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। এই পরিস্থিতিতে দীপাবলীর পর স্কুল, কলেজ খুলে যেতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এ প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি খুলে দেওয়া যেতে পারে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা হবে সে বিষয়ে কিছু জানান নি শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি শুধু বলেছেন যে, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করতে হচ্ছে সরকারকে। স্কুল খুলে দিলেই শুধু হবে না। স্কুল চালাবার বিষয়টিও ভাবতে হবে। পড়ুয়াদের ভাগ ভাগ করে স্কুলে আনা যায় কিনা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মেনে নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে চলতি মাসে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। গত রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যে বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৩০ সে নভেম্বর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি সহ রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা, বা ছাত্র- ছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তবে, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেয়া হয়েছে। যেমন জানানো হয়েছে যে, জনগণের ব্যবহারের জন্য সুইমিং পুল বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু যারা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরা তাদের প্রশিক্ষণের জন্য সুইমিং পুল ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও নির্দেশিকা জানানো হয়েছে যে, কনটেইনমেন্ট জোন এর বাইরে থাকা সিনেমাহল, থিয়েটার, মাল্টিপ্লেক্স গুলি খোলা রাখা হবে কিন্তু এগুলোর মোট আসন সংখ্যার ৫০% দর্শক সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, ক্রীড়া ও বিনোদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। সেই সঙ্গে নাটক, যাত্রা, সংগীতের অনুষ্ঠান, নাচের অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, কোন হল ভাড়া করে বা কোন বদ্ধ জায়গায় যদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে মোট আসন সংখ্যার ৫০% উপস্থিত থাকতে পারবেন। কোন বড় হলেও ২০০ জনের বেশী মানুষ উপস্থিত হতে পারবেন না।

আবার কোন খোলা জায়গায় যদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে সেই জায়গার আয়তন যত বড় হবে, সে আয়তন অনুযায়ী দর্শকসংখ্যা স্থির করবে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, মাস্ক পরিধান করা, থার্মাল স্ক্যানিং কোয়ার, স্যানিটাইজেশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের করতে হবে। কোনরকম ত্রুটি যদি ধরা পড়ে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গতকাল রেলের সঙ্গে রাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বসেছিল। যেখানে ৫০ % যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার প্রস্তাব দেয় রেল। লোকাল ট্রেন চালুর পর রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি তাড়াতাড়ি চালু হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। বিশেষ করে কালীপুজোর পর স্কুল কলেজগুলি যেতে পারে বলে, জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সরকারের ঘোষণাতে সে জল্পনায় ছেদ পড়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!