এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদায় শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, মদতের অভিযোগ খোদ জেলা সভাপতির নামে

মালদায় শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, মদতের অভিযোগ খোদ জেলা সভাপতির নামে

নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার থেকে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা গেলো মালদহ জেলায়। জানা যাচ্ছে মালদহ জেলা পরিষদে মোট ৩৮ টি আসন রয়েছে । সেখানে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫৩টি। শুধু জেলা পরিষদ বলেই নয় পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। যা ইঙ্গিত করছে মূলত দলের আভ্যন্তরীন বিভেদকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই অতিরিক্ত মনোনয়নপত্র পেশের ফলে শেষ অবধি কে বা কারা দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্যে স্বীকৃতি পাবে আর কাদেরকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে সে বিষয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। দলীয় সূত্রের খবর অনুয়ারী চাঁচল-২ ব্লকে জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃনমুলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দু’জন প্রার্থী। তার মধ্যে রয়েছেন দলের পুরনো কর্মী মহম্মদ আনোয়ার হোসেন। ঐ আসনে জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘনিষ্ঠ রফিকুল ইসলামও তাঁর মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষ অবধি দলীয় প্রতীক কার জন্যে বিবেচিত হয় সেটাই দেখার। এই ঘটনায় জেলা সভাপতির সক্রিয় ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাচ্ছেনা। একই ঘটনার সাক্ষী রতুয়া ব্লকের অধিবাসীরা। রতূয়া-১নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদের ২০ নম্বর আসনে দলের পুরোনো কর্মী প্রমোদপ্রসাদ দাসের পাশাপাশি তৃনমুল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন দলের এক মহিলা সদস্যাও। জেলার আলাদা দুটি ব্লকে একই ঘটনায় দলের অন্দরে পরিচালন ক্ষমতার ব্যর্থতার ছবিই প্রকাশ্যে আসছে। যদিও নেতৃত্বর একাংশ মানছেন, পরিবর্তনের বাংলায় সংসার বড় হয়েছে। বেড়েছে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা। আদি তৃণমূলীদের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন নব্য তৃণমূলীরা। তারই ফলস্বরূপ এইসব দৃষ্টান্তের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!