সারা বছর তৃণমূলের কাছে মার খাই, তাই বাম-কংগ্রেস-বিজেপি ভুলে এক ছাতার তলায় বিশেষ খবর রাজ্য April 9, 2018 স্থান জেলা সদর জলপাইগুড়ি নিকটস্থ জোড়াবাঁধ। বাঁধের থেকে বাঁ দিক ঘুরে রাস্তা ঢুকে গিয়েছে বারোপেটিয়া নতুনবস গ্রামের ভিতর। সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র পেশ করার সময়সীমা শেষ না হওয়া অবধি এই রাস্তা পাহারা দেবে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি দলের স্থানীয় কর্মী তপন, মজিদুর, দুলাল, আব্বাসরা। এদের সকলেরই উদ্দেশ্য এক , তা হলো মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা শেষ না হওয়া অবধি যে যার নিজদের দলের জেলা নেতারা যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা। শুধু মুখে বলেই থেমে নেই ওঁরা নিষ্ঠার সাথে কাজেও করে দেখাচ্ছে। ওদের আর্জি একটাই, “গ্রামে আপনাদের নাক গলানোর দরকার নেই।” এই কাজের পিছনে যুক্তি হিসেবে তপন, মজিদুর বলছেন, ”তৃণমূলকে হারাতে হলে একজোট হতে হবে। ওই নেতারা এলে তা সম্ভব নয়। তৃণমূলকে কী করে হারাতে হবে, তা আমরা বুঝে নেব।” এ বিষয়ে নিজেরা নিজেদের রণনীতি অবধি প্রস্তত করেও ফেলেছে ওঁরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী। মজিদুর, দুলালদের দাবি, “বিরোধীদের মধ্যে কয়েকটি জায়গায় বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেখানে বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের ন’টি আসনে। বাকি তিন আসনে বিরোধী তিন দল মিলে নির্দল প্রার্থী ঠিক করেছি।” জোট বাঁধার কারণ হিসেবে তিন দলের স্থানীয় কর্মীরই বক্তব্য এক। ওঁরা বললেন, ”সারা বছর সকলেই মার খাই তৃণমূলের হাতে। এক তো হতেই হবে।” সিপিএম কর্মী তপন বলেন, “দলের প্রতীকে প্রার্থী দিলে জিততে পারব, এমন ক্ষমতা নেই। উল্টে ভোট কেটে ঘাসফুল জিতবে। তাই দলীয় প্রতীক ছেড়ে একজোট হয়েছি, যাতে ভোট ভাগ না হয়।” বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামীর এ প্রসঙ্গে বললেন, “ক’টা আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, কে প্রার্থী হবেন, তা গ্রামের লোকেরই ঠিক করেছে। আমরা কিছু চাপিয়ে দেইনি।” অন্যদিকে বারোপেটিয়ার ভারপ্রাপ্ত সিপিএম নেতা তমাল চক্রবর্তী এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার দুজনেই একই সুরে বললেন ওখানে তাঁরা কোনও প্রার্থী খুঁজে পাননি। সবশেষে এই বিরোধী জোট শক্তি কে তীব্র সমালোচনা করে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বললেন, “এই যে ওঁরা একে ‘প্রতিরোধের গ্রাম’, সেই কথাটাই হাস্যকর। ঘটনা হল, বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের যে নির্লজ্জ নীতিহীন জোট হয়েছে, তা ওই গ্রামেই প্রমাণ।” যদিও সৌরভ বাবুর এই কথা বারোপেটিয়ার বিরোধীরা তাচ্ছিল্যের ন্যায় দেখছেন। ওখানকার কংগ্রেস কর্মী সাত্তার বললেন, “আমরা যারা রোজ তৃণমূলের কাছে মার খাই, তারা একজোট হয়েছি।একের এক বিরুদ্ধে এক প্রার্থী হলে দেখব কী করে জেতে!” আপনার মতামত জানান -