এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তীব্র ডামাডোল শুরু প্রদেশ-কংগ্রেসে, অধীর ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েটের মার খাওয়ার অভিযোগ!

তীব্র ডামাডোল শুরু প্রদেশ-কংগ্রেসে, অধীর ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েটের মার খাওয়ার অভিযোগ!


দলের সংগঠনের হাল ফেরাতে প্রদেশ সভাপতি বদল হলেও এবার দলীয় অন্তর্কোন্দলে জড়াল সেই বিধান ভবন। তৃনমূল এবং বিজেপিকে ঠেকাতে শপথ নিলেও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর অনুগামীদের ওপর কেবলই মারধর করার অভিযোগ উঠছে বর্তমান প্রদেশ সভাপতির সোমেন মিত্রর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বসানো হয় সোমেন মিত্রকে। আর সেদিন থেকেই শুরু হয়ে অধীর চৌধুরীর অনুগামীদের খেদাওয়ের রাজনীতি অভিযোগ এমনটাই।

জানা যায়,প্রদেশ সভাপতি হয়ে যখন সাংবাদিক বৈঠক করতে বসেছেন সোমেন মিত্র তখন কোনোক্রমে সকলের ভিড় ঠেলে সেই সোমেন মিত্রর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। অভিযোগ, সেইসময় সোমেন মিত্রর কিছু অনুগামী তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন এবং বলেন, “সোমেন মিত্র নাকি তাঁকে ঢুকতে বারন করেছেন।” আর এরপরই নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরে প্রদেশ সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “আপনি আমাকে ঢুকতে বারন করেছেন?” আর এরপরই কিছুটা বিরক্ত হয়ে হাত দিয়ে সকলকে থামার নির্দেশ দিলেও ওমপ্রকাশ মিশ্রকে ভেতরে ঢুকতে দিলেন না তিনি। যার জেরে সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান ওমপ্রকাশ মিশ্র নন। তবে শুধু ওমপ্রকাশ মিশ্রই নন, এবার দলের মুখপত্র প্রদেশ কংগ্রেস বার্তার সম্পাদক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধরের অভিযোগ উঠল সেই বিধান ভবনের সামনেই।

 সূত্রের খবর, গত শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস বার্তার কর্মীদের নিয়ে বিধান ভবনে যান সেই সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পত্রিকার জন্য যে ঘরটি রয়েছে সেটা তালাবন্ধ থাকায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছায়াসঙ্গী বাদল ভট্টাচার্যর কাছে চাবি চেয়েও পাননি সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। আর এরপর নীচে নেমে সন্ময়বাবু চা খেয়ে ঠিক উপরে থাকা প্রদেশ কংগ্রেস বার্তার কর্মীদের জানান যে তিনি বাড়ি চলে যাচ্ছেন। অভিযোগ, এই সময়ই কজন যুবক এসে সেই সন্ময়বাবুকে গালিগালাজ করে। কোনোক্রমে একটি বাস ধরতে গেলে তাকে চরম মারধর করে সেই যুবকেরা। আর এরপরই বাসের গায়ে পড়ে গিয়ে দরজার হ্যান্ডেল ধরে কন্ডাকটারের সাহায্যে তিনি প্রানে রক্ষা পান। কিন্তু কে ঘটাল এইরকম ঘটনা?

এই প্রসঙ্গে সেই সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “35 বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম ঘটনা কখনও ঘটেনি।” তাহলে কি এই ঘটনায় তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতের অনুগামীর দিকেই আঙুল তুলছেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোমেনবাবুর ছেলে রোহন রবিবার আমাকে ফোন করে খোঁজ নেয়। সোমেনবাবুও কথা বলেন। তবে সোমেন মিত্রর নির্দেশে এসব ঘটেনি।” তবে সোমেন অনুগামী বাদল ভট্টাচার্যই যে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত প্রদেশ বার্তার সম্পাদক সন্ময়বাবু।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এদিন বাদল ভট্টাচার্য বলেন, “সন্ময়বাবুকে আমি শনিবার প্রদেশ দফতরেই দেখিনি। ওনার সঙ্গে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ওনার যে সব কর্মীরা এসেছিলেন তাঁদের সাথে খারাপ ব্যাবহার হয়েছে কি না তা জানলেই তো পুরো ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তবে কিসে কি স্পষ্ট হবে তার থেকেই এখন বেশি চিন্তা যে প্রদেশ সভাপতি বদলের পর একের পর এক যেভাবে অধীর চৌধুরী অনুগামীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তাতে এখন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অনুগামীদের নেক্সট টার্গেট কে সেই আশঙ্কাই গ্রাস করছে বিধানভবনকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!