রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয়হারে ডিএ পাওয়া নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে বা স্যাটে যে মামলা শুরু হয়েছে, তাতে আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ছিল। কেননা সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্য সরকারের স্যাটে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে আজ স্যাটে কোনো হলফনামা জমা পড়েনি। তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, আজ হলফনামা জমা না পড়ার জন্য রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা কোনো অতিরিক্ত দিনের জন্য আবেদনও জানাননি।

এই প্রসঙ্গে, এই মামলার অন্যতম উদ্যোক্তা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্যাটে আগের দিনের শুনানিতে নির্দেশ ছিল আজ ২৪ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে হবে। সেই হলফনামা জমা পড়লে তার কপি আমরা মামলাকারী হিসাবে হাতে পাব এবং আগামী সাতদিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৩ রা অক্টোবরের মধ্যে আমাদের জবাবি হলফনামা জমা দিতে হবে। যার ভিত্তিতে আগামী ৪ ঠা অক্টোবর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা আছে। কিন্তু আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে আজ সুনির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বারবার খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সেই হলফনামা রাজ্য সরকারের তরফে জমা পরে নি। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী আজ এর পরে সেই হলফনামা জমা পড়লেও তা বিচারপতিদের কাছে আজ পৌঁছাবে না।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আজ হলফনামা জমা না পড়ায় কি তাহলে আগামী ৪ ঠা অক্টোবরের শুনানি তাহলে পিছিয়ে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মলয়বাবু জানান, দেখুন রাজ্য সরকার কি করবে সেটা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার বা সরকারি আইনজীবীদের ব্যাপার। কিন্তু আইন বলছে, নির্দিষ্ট দিনে হলফনামা কোনো কারণে জমা করা না গেলে, পরের দিন বিচারপতিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে হলফনামা জমা করা যেতেই পারে। তাই, স্বাভাবিকভাবেই আমরা আগামীকাল পর্যন্ত এই ব্যাপারে অপেক্ষা করব। আর আগামীকাল যদি রাজ্য সরকারের পক্ষে হলফনামা জমা পরে, তাহলেও আমরা ৩ রা অক্টোবরের মধ্যে জবাবি হলফনামা জমা করার চেষ্টা করব – যাতে ৪ ঠা অক্টোবরের সুনির্দিষ্ট শুনানির দিনের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।

কিন্তু যদি আগামীকালও রাজ্য সরকার এই হলফনামা জমা না করে? তাহলে কি মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে যাবে? জবাবে মলয়বাবু জানান, আইনের নিয়ম অনুযায়ী হলফনামার জন্য একদিন অতিরিক্ত মঞ্জুর করা হয়েই থাকে। কিন্তু কোনো সময়েই সেই মঞ্জুরি আদি-অনন্তকালের জন্য হয় না। তাই আগামীকাল যদি রাজ্য সরকার হলফনামা পেশ না করে, তারমানে ধরে নেওয়া যেতেই পারে – রাজ্য সরকার বোধ হয় এই মামলায় হলফনামা পেশে খুব একটা আগ্রহী নয়। সেক্ষেত্রে আমাদেরও পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার কোনো ব্যাপার রইল না। সেক্ষত্রে সুনির্দিষ্ট ৪ ঠা অক্টোবরের শুনানি হতে কোনো বাধা নেই। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই সেক্ষেত্রে এই মামলার শুনানি হবে।