এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আদি নেতাদের ছেটে অপমান তৃণমূলে? ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট বিধায়ক? ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণার পথে আরও দুই?

আদি নেতাদের ছেটে অপমান তৃণমূলে? ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট বিধায়ক? ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণার পথে আরও দুই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মহুয়া মৈত্রকে দিয়ে নদীয়া জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দলের জনপ্রতিনিধিদের গন্ডগোল প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে নদীয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথম থেকেই ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করতে দেখা গিয়েছিল নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁকে।

আর এইবার জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি চাইতে দেখা গেল তাকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে নদীয়া জেলায়। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি দলের বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করে এই রকম মন্তব্য করতে শুরু করেন, তাহলে তা যে তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার নদীয়ায় তৃণমূলের নতুন জেলা এবং ব্লক কমিটি ঘোষণা হয়েছে। আর তারপর থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যেখানে দীর্ঘদিন নাকাশিপাড়ার ব্লক সভাপতি থাকা অশোক দত্তকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এতেই রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়েছেন নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ। তার অনুগামীকে এইভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই।

অবশেষে দলের নেতৃত্বের সামনেই সমস্ত পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন সেই তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রের খবর, এদিন কৃষ্ণনগরের জেলা পরিষদের সভা কক্ষে দলের নবগঠিত জেলা এবং ব্লক কমিটির পদাধিকারীদের নিয়ে একটি বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার কথা শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিনের এই বিজয়া সম্মেলনীতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে জেলার দুই প্রবীণ তৃণমূল নেতা শঙ্কর সিংহ এবং অজয় দে’কে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই অনুপস্থিতি নতুন করে গুঞ্জন বাড়াতে শুরু করেছে জেলা রাজনীতিতে। তাহলে কি নতুন জেলা কমিটিতে দলের অনেক প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে অনেক বিধায়ক খুশি নন! তাই কেউ অনুপস্থিত থেকে, আবার কেউ বা প্রকাশ্যে উপস্থিত থেকে পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করলেন! কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এই পদ্ধতি শুরু হয়, তাহলে তা যে তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না, তা বুঝতে পারছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “গৌরী এবং নন্দের মত বর্ষীয়ান নেতাদের উপদেষ্টামন্ডলীতে রাখা উচিত। দলের প্রতি এদের অবদানের কথা আমি ভুলতে পারি না। তাই আমি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। যা হচ্ছে, সেটা দলের জন্য একেবারেই ভালো হচ্ছে না। জেলা নেতাদের বলেছি, ওদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার জন্য।”

এদিকে এই ব্যাপারে নদীয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “আবেগের বশে কেউ কিছু বললে তা ধরা উচিত নয়। সবাই দলের সঙ্গেই আছেন।” তবে জেলা নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, নদীয়া জেলায় এই নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর ক্রমাগত যে দলের অন্দরে বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!