এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুরনো হেভিওয়েটকে মমতা ঢাকঢোল পিটিয়ে নিয়ে এলেও রাশ ছাড়তে নারাজ নতুনরা, স্পষ্ট মমতার সামনেই

পুরনো হেভিওয়েটকে মমতা ঢাকঢোল পিটিয়ে নিয়ে এলেও রাশ ছাড়তে নারাজ নতুনরা, স্পষ্ট মমতার সামনেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর পাহাড় যখন উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল, তখন সেখানকার রাশ ধরেছিলেন বিনয় তামাং। তবে সাম্প্রতিক কালে আবার বিমল গুরুং প্রকাশ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথ চলার কথা জানিয়ে দেন। যার ফলে বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হতে শুরু করে। তারা যে কোনোমতেই বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে পথ চলবেন না, তা কার্যত পরিষ্কার করে দেন বিনয়বাবুর অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে পাহাড়ের উত্তেজনা কমাতে এবং দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের মেটাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার নবান্নে বিনয় তামাং গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সেই বিনয় তামাংদের বেশ কিছু দাবি মেনে নিয়ে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। একইভাবে বিমল গুরুং প্রকাশ্যে চলে আসায় তিনি পাহাড়ের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এদিনের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের হাতেই পাহাড়ের ক্ষমতা থাকবে।

সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জিটিএ প্রধান সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা। এছাড়াও ছিলেন বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের মত নেতারা। দিনভর এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যবাসীর। কেননা বিমল গুরুং প্রকাশ্যে চলে আসার পর বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠীরা যেভাবে সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে এই দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ফের পাহাড় উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে তাকে মোকাবিলা করেন, তার দিকে নজর ছিল সকলের। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে কার্যত হাসিমুখেই দেখা গেল বিনয় তামাং এবং অনীত থাপাদের। এদিন সাংবাদিকদের তারা বলেন, “আমরা আবেদন করেছি, যাতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে জিটিএর সমন্বয় আরও মসৃণ হয়। মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছেন পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার ওপরে। অর্থাৎ এই বৈঠকে তারা যে অনেকটাই খুশি, তা তাদের বক্তব্যেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বললেও, দার্জিলিংয়ের বিমল গুরুংয়ের সমর্থনে তার অনুগামীরা কিন্তু সভা-সমিতি করতে শুরু করেছেন। এদিন সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিনয় তামাংকে। তিনি বলেন, “কে বিমল গুরুং! ওদের ওখানে কত লোক ছিল! 200? দার্জিলিংয়ে আমাদের কুড়ি হাজারের বেশি লোকের মিছিল হয়েছে। বিমল গুরুং তো ফেরার। আমার নামে মামলা থাকতে পারে। আমি কিন্তু আদালতে হাজিরা দিই। উনি দেন না। বিমল গুরুং তাই পাহাড়ে ক্লোজড চ্যাপ্টার।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, “গোর্খাল্যান্ড আমাদের মা। এতদিন একদল নেতা একে নিলাম করে ভোট করেছে। আমরা তা করব না। উন্নয়ন, কাজকে রেখেই ভোট হবে।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা খুশি হলেও, বিমল গুরুংয়ের প্রভাব পাহাড়ে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা যদি হয়, তাহলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হতে পারে পাহাড় বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!