এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট নেতাকে মমতা দায়িত্ব দিলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ? ক্রমশ জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে?

হেভিওয়েট নেতাকে মমতা দায়িত্ব দিলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ? ক্রমশ জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন শ্রীঘরে থাকার পর মুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই ছত্রধর মাহাতোকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি গত আগস্ট মাসে ঝাড়গ্রামে এসে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, জেলার সমস্ত সাংগঠনিক বৈঠকে সেই ছত্রধর মাহাতোকে ডাকতে হবে, তার মতামত নিতে হবে।

কিন্তু সেই পার্থবাবু প্রয়াত ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাসদার মরদেহ নিয়ে ঝাড়্গ্রাম এলেও তার সঙ্গে দেখা হল না ছত্রধর মাহাতোর। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি ছত্রধর মাহাতোকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! তাই ঝাড়গ্রামে এলেও, সেই ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে দেখা হল না তার?

তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার ব্যক্তিগত কাজে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই ছত্রধর মাহাতোরা গেলেও তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, গত 2 নভেম্বর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোকে সাথে নিয়ে কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাড়িতে গিয়েছিলেন এই ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি এই তৃণমূল নেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই দুই নেতার মধ্যে এখন দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো বলেন, “সোমবার শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের দপ্তরে নিয়তিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আয়োগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়েছিল নিয়তি। যাওয়ার পথে পার্থদার বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি বোধহয় অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই দেখা হয়নি। এসব নিয়ে জল্পনার কোনো প্রশ্ন নেই।”

তবে দূরত্ব তৈরির ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ছত্রধর মাহাতো এক যুক্তি দিলেও, তা মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, যেভাবে সাম্প্রতিককালে এনআইএর তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছে ছত্রধর মাহাতোকে, তাতে তিনি অনেকটাই চাপে। তাই তার সঙ্গে এখন দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি সত্যি সত্যিই ছত্রধর মাহাতোকে কার্যত এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়! বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অবশ্য তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যি সত্যিই এই ঘটনা ঘটনাচক্রে তৈরি হয়েছে, নাকি পরিকল্পনামাফিক, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!