এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের অন্যতম বিজেপি সাংসদকে নিয়েও শুরু হল দল ছাড়ার জল্পনা, ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?

রাজ্যের অন্যতম বিজেপি সাংসদকে নিয়েও শুরু হল দল ছাড়ার জল্পনা, ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকেই ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছিল গেরুয়া শিবিরের ভাঙন নিয়ে। বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়কদের দল ছেড়ে বেরোনোর কথা সামনে এসেছে। তৃণমূলের তরফ থেকেও এরকম দাবী করা হয়। তবে নির্দিষ্ট করে কারোর নাম সেক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে সময়ের সাথে সাথে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরো বাড়ছে বৈ কমছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা থেকে রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের যুব নেতা তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

গত শনিবার দেখা গিয়েছিল তিনি গেরুয়া শিবিরের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। এমনকি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকও বয়কট করেছেন। এই ঘটনার তাঁর স্ত্রী বর্তমান তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ তাঁকে তৃণমূলে ফিরে আসার আহবান জানান। অবশ্য সৌমিত্র খাঁ নিজে জানিয়েছেন, তিনি করোনা বিধি মানার জন্যই দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষের বৈঠক এড়িয়ে গেলেও সৌমিত্র খাঁ কিন্তু সোজা পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। যেখানে সৌমিত্র জানিয়েছেন, 15 ই জুন পর্যন্ত কোন সভা সমাবেশে তিনি যাচ্ছেননা। সেই সৌমিত্র খাঁকে কিন্তু দেখা গিয়েছে রবিবার বিকেলে মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে।

সেই সময় সেখানে শুভ্রাংশু রায়ও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ সময় সৌমিত্র খাঁ তাঁর রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন বলে খবর। অবশ্য মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র মুকুল রায়ের স্ত্রীর অসুস্থতার খবর নেওয়ার জন্যই মুকুল রায়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি দল ছাড়ার জল্পনা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি যখন বিজেপিতে এসেছিলেন, সে সময় দলের আসন সংখ্যা ছিল তিন যা এখন দাঁড়িয়েছে 77 এ। তাই দল ছেড়ে যাবার কোন প্রশ্নই উঠছে না। প্রসঙ্গত, সৌমিত্র খাঁ যাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেই মুকুল রায় কিংবা শুভ্রাংশু রায় এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভ্রাংশু রায়কে তো দলের আত্মসমালোচনা করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি অভিষেক হাসপাতালে তাঁর মাকে দেখতে যাওয়ার পর ভূয়শী প্রশংসা শোনা গিয়েছে শুভ্রাংশু রায়ের কন্ঠে অভিষেক এবং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। অন্যদিকে অভিষেকের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও ঐ একইদিনে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে। কিন্তু তাই নিয়ে মুকুল রায় বিতর্কিত কথা বলেছেন। পাশাপাশি ভোটের আগে তৃণমূল থেকে আসা অনেক নেতাই এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরে বেসুরো হয়ে পড়েছেন যার মধ্যে অন্যতম হলেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল।

তিনিও জানিয়েছেন, তাঁর মাতৃবিয়োগ হওয়ার পর বিজেপির গুটি কয়েক নেতা ছাড়া কেউ খোঁজ খবর নেননি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজ নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি এই সৌজন্যবোধই তৃণমূলকে গেরুয়া শিবিরের থেকে এগিয়ে রাখছে? আর এই সৌজন্যবোধকে হাতিয়ার করেই কি গেরুয়া শিবিরে ফাটল ধরানোর চেষ্টা রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরের? উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!