এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অযোধ্যার রামমন্দিরে পৌরোহিত্যের দ্বায়িত্ব পাবেন কারা ? জেনে নিন

অযোধ্যার রামমন্দিরে পৌরোহিত্যের দ্বায়িত্ব পাবেন কারা ? জেনে নিন


135 বছরের বিতর্কিত মামলায় ইতি টেনে অযোধ্যার 2.77 একর জমিতে রাম মন্দির তৈরি হবে, তা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে একটি ট্রাস্ট তৈরি করার। অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আইনি বৈধতা মেলা আর বাস্তবায়ন হওয়া এক নয়।

রাম মন্দির পরিকল্পনায় গত কয়েক বছর ধরেই অযোধ্যাতে কাজ চলছে। মন্দির নির্মাণ নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের থেকে। তবে ইতিমধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারা থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকার নির্মিত ট্রাস্টি বোর্ডে? ভেসে উঠেছে অনেকগুলি নাম।

শুধু তাই নয়, অযোধ্যা মন্দিরের পৌরোহিত‍্যের দায়িত্বে থাকবেন কারা সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অযোধ্যা মন্দির নির্মাণে রায়দান করার পরেই সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট তৈরি করে মন্দির নির্মান কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার। গত শনিবার সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে পাঁচ বিচারপতির সম্মিলিত সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মন্দির সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশাবলী দেয়।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির করার জন্য যে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন হবে সেই ট্রাস্টি বোর্ডে কারা কারা সদস্য হবেন? মন্দিরে কারা পূজো করবেন? এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সরকারের তরফ থেকে এই ট্রাস্টে কেউ থাকেন যেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সুত্রের খবর, অযোধ্যা মন্দিরে বদ্রিনাথ মন্দিরের আদলে পুজো করার কথা বলা হচ্ছে।বদ্রীনাথ মন্দিরে পুজো ধরনটি সম্পূর্ণ অন্যরকম। সেখানে যতদিন কেউ ব্রহ্মচারী থাকবেন, ততদিন সে ব্রাহ্মণ থাকতে পারবেন অর্থাৎ পুজো চলাকালীন যতদিন তিনি পূজা করবেন পুরো সময় তাঁকে কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করে যেতে হবে। কোন মহিলার সংস্পর্শে আসা চলবে না। বদ্রীনাথ এর পুজোর জন্য কেরলের নাম্বুথিরি থেকে ব্রাহ্মণরা আসেন। তাঁদের শঙ্করাচার্যের বংশধর বলে মনে করা হয়।

এঁদের রাওয়ালও বলা হয়। সাধারণত এঁদের যোগ্যতা কমপক্ষে ওখানকার বেদ-বেদান্ত বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হলে হবেই পৌরহিত্য করার অধিকারী হবেন। পাশাপাশি বদ্রীনাথের পুরোহিত হবার অবশ‍্য করেই শাস্ত্রী উপাধি হতে হবে এবং অবশ্য করেই ব্রহ্মচারী হতে হবে।

তবে প্রশ্ন শুধুমাত্র মন্দিরে কারা পৌরোহিত্য করবেন বা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে কারা থাকবেন তা নয়। প্রশ্ন আরো উঠেছে। সরকারকে ঠিক করতে হবে মন্দির কার অর্থে হবে অর্থাৎ সোমনাথ এর পর রাম মন্দিরও কি সরকারের টাকাতেই হবে নাকি ট্রাস্টি বোর্ডের থেকে অর্থ জোগাড় করা হবে।

সর্বোপরি, এই ট্রাস্টের সদস্য কারা হবেন এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলি যথেষ্ট সাবধানী মন্তব্য করছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপাতত ভারসাম্য রক্ষার ভার কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে তামাম রাজনৈতিক মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!