বর্তমানে ‘পথভ্রষ্ট’ ছাত্র রাজনীতি – মানু-প্রিয়-সুব্রত-মমতাকে দেখিয়ে ‘সঠিক’ পথের সন্ধান রাজ্য August 29, 2018 এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন উপলক্ষ্যে ছাত্র যুবদের ভীড়ে গমগম করছিল মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তির পাদদেশ। সেখানেই তরুণ প্রজন্মকে ছাত্র রাজনীতির মূলমন্ত্রের পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন,কাজই হওয়া উচিৎ ছাত্রছাত্রীদের প্রধান এবং একমাত্র কর্তব্য। কাজের মাধ্যমেই পরিচিতি গড়ে উঠবে সমাজে। কাজের মাধ্যমেই তৈরি হয় একজন নেতা বা নেত্রী। ছাত্র সমাজকে এদিন সঠিক পথের দিশা দেখাতে গিয়ে তাঁর জীবনের পুরানো দিনের কথাও মনে পড়ে গেল তাঁর। প্রসঙ্গে জানালেন, তিনি সম্পূর্ণ গোপনে থেকেই ছাত্র রাজনীতি করতেন। প্রচারের আলোয় কখনোই আসতেন না। এখন যেমন ছাত্র নেতা নেত্রীরা বরিষ্ঠমহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সুযোগ পায়,তাঁর সময় সেটা ছিল না বলেই আক্ষেপ করলেন নেত্রী। তাঁর ভাষায়, ‘সামনের আয়নাটা-ই ছিল মাপকাঠি।’ একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল তাঁর কাজ। মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগতাড়িত নেত্রী আরো জানান,ছাত্র পরিষদের নেত্রী হিসাবেই নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। তারপর একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তাঁর রাজনীতির বৃহৎ ময়দানে আসা। একমাত্র কাজই তাকে এই জায়গায় পৌছে দিয়েছে। কাজের মাধ্যমেই যোগসূত্র তৈরি হয়েছে সিনিয়রদের সঙ্গে। প্রসঙ্গে স্মৃতির পাতা থেকে তুলে ধরলেন অভিজ্ঞতার কথা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে একদিন তিনি যগুবাবু বাজার অর্থাৎ দক্ষিণ কোলকাতা এলাকায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেসময় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন ‘মানুদা’ (বাংলার প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়)। সেদিন নেত্রীর ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবং কাছে এসে বলেছিলেন,”তোমার নাম শুনেছি। তুমি খুব দুষ্টু কিন্তু ভালো বলো।” মানুদার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারনায় উঠে এসেছে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নামও। একদিন নাকি প্রিয়রঞ্জন বাবু নেত্রীর কলেজে এসে তাঁর খোঁজ করছিলেন। কলেজের সবাই নেত্রীকে দেখিয়ে দেওয়ার পর প্রিয়রঞ্জন বাবু তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন,”তুই ভালো কাজ করছিস।” এই ছাত্র পরিষদের নেত্রীই একদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন একথা কে জানতো! রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা চড়াই উতরাই পেরোনোর পর আজ তিনি এই জায়গা হাসিল করেছেন। পাখির চোখ করেছেম শুধুমাত্র কাজকে। কখনোই ছোট ছোট দরকারে বড় বড় নেতা-নেত্রীদের বাড়ি ছোটেননি তিনি। বড় বড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আসলে টিএমসিপির নেত্রী জয়া দত্তকে সমঝে দিতে চেয়েছেন কিনা সে নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিকমহলের অন্দরে। প্রসঙ্গত,জয়াদেবীকে প্রায়শই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দরবার করতে দেখা গিয়েছে। নেত্রী আসলে কি এই বার্তাই স্পষ্টত তরুণ প্রজন্মকে দিতে চাইলেন মঞ্চ থেকে, যে ভালো কাজ করলে সিনিয়র নেতারা এমনিই ডেকে নেবেন। তার জন্য দফায় দফায় দরবার করার প্রয়োজন নেই-প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিকমহলে। আপনার মতামত জানান -