এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আলাপন ইস্যুতে এবার উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর ডিলিট পাওয়ার প্রসঙ্গ

আলাপন ইস্যুতে এবার উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর ডিলিট পাওয়ার প্রসঙ্গ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যখন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ব্যাপক দ্বন্দ্বের অবতারণা হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে, ঠিক তখন উঠে এলো আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রসঙ্গত, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী হলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তিনি একটা সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তাঁর সময়কালেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট প্রদান করা হয়। আর তাই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে বর্তমানে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মধ্যে নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিলিট পাওয়া অন্যতম নিতর্কিত বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

2017 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট প্রদান করা হয় সমাজসেবামূলক কাজ এবং সাহিত্যকর্মের জন্য। ফলস্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। আবার অন্যদিকে রেজিস্টার পদে থাকা সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপাচার্য পদে আসা নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেসময় এই নিয়ে একটি মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সব মিলিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট প্রদান করা নিয়ে সেসময় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মন্তব্য করেছিলেন, সরকার অনুমোদিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের প্রধানকে ডিলিট প্রদান করছে যা অদ্ভুত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা থেকেও এই ঘটনার সমালোচনা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা জ্যোতি বসুকে আইনি সম্মান দেওয়া নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। সেই একই কাজ হচ্ছে তৃণমূল সরকারের আমলে। সেক্ষেত্রে সমালোচনা কিভাবে হবে বলে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এমনকি রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর ডিলিট পাওয়া মেনে নিতে পারেননি। তিনিও বলেছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য করা হয়েছে এমন একজনকে যিনি কোনদিন কলেজে পড়াননি। আর তাই প্রতিদানস্বরূপ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট প্রদান করে কৃতজ্ঞতা জানালেন।

তবে সে সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ডিলিট প্রদানের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যখন ডিলিট সম্মান গ্রহণ করেন তিনিও তখন এই সম্মানকে জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে চিহ্নিত করেন। এতদিন পরে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এই ইস্যু উঠে এসেছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক উপেক্ষা করে চাকরি জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে। আর তাই নিয়েই ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ডিলিট প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বিরোধীদের মুখে। এই ঘটনার রেশ কোথায় গিয়ে শেষ হয় সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!