এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভার টিকিট দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতিতে নাম জড়ালো প্রভাবশালী বিজেপি নেতার

বিধানসভার টিকিট দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতিতে নাম জড়ালো প্রভাবশালী বিজেপি নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে কার্যত বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে মূল লড়াইটা হতে চলেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির। আর যদি বিজেপি লড়াইটা ঠিকঠাক লড়তে পারে, তাহলে রাজ্যে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে বিজেপির টিকিট পেতে এখন থেকেই আসরে নেমেছেন অনেকেই।

আর সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে, বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দেবার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল এবার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। যে অভিযোগে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে বিজেপির অন্দরে। কলকাতার অদূরেই বিজেপির এক প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাপতি দলীয় এক কর্মীকে বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দেবার নাম করে ১৬-১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি কোনো পদে না থাকায়, সেই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন জনৈক দাতা।

কিন্তু, যে প্রভাবশালী নেতা টাকা নিয়েছেন, তিনি আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট ও কল রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে বিজেপিরই বিভিন্ন গ্রূপে। সেই রকমই একটি অডিও টেপে শোনা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট নেতা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং ‘সময় এলে’ তা ফেরত দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। যদিও এই অডিও টেপের সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে যাচাই করা সম্ভব হয় নি। এদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই অভিযোগ, শুধুমাত্র বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দেওয়ায় নয়, আরও অনেক দুর্নীতিতে নাম রয়েছে সংশ্লিষ্ট নেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বিজেপিরই এক জেলা সভাপতির স্নেহধন্য হওয়ায়, মুদ্রা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম বহু মানুষের কাছে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ। বিজেপির ওই জেলা সভাপতির নাম জড়াতেই, জলঘোলা আরও হয়েছে। টাকা চেয়েও টাকা ফেরত না পেয়ে দুইপক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যেই হাতাহাতি বাধে। আর এরপরেই ওই প্রভাবশালী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে ডায়েরি করেন সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতি। দলীয় প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরেও, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে যাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেই পুলিশে রিপোর্ট করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতির একের পর এক ‘কুকীর্তি’ ভাইরাল হয়েছে বিজেপিরই বিভিন্ন গ্রূপে। ওই জেলা সভাপতির আরেক ঘনিষ্ঠ নেতা নাকি আরেক জনের কাছে মুদ্রা ঋণ পাইয়ে দেবার নাম ১৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর ‘দুর্নীতি’ এতটাই মাত্রা ছাড়া হয়েছে যে প্রকৃত বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ‘বসে যাচ্ছেন’। ফলে লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলায় দুর্দান্ত ফলাফল করলেও, বর্তমানে সেখানে সংগঠন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে। তিনি নাকি নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতেই ইচ্ছা করে দলের মধ্যে আদি ও নব্যর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখেছেন।

বিজেপির অন্দরে আরও অভিযোগ, এই সমস্ত নেতাদের ‘কুকীর্তি’ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। দলের প্রকৃত কর্মীদের ইচ্ছা করে দূরে রেখে, ‘অযোগ্য’ লোকেদের পদে বসানোর বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তবুও ‘কাটমানির’ জন্য বিজেপির রাজ্য কমিটির এক প্রভাবশালী নেতার ‘স্নেহধন্য’ হয়ে তিনি একই কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ ওঠার পরেও, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনেও তিনি নিজের পদ ধরে রেখেছেন।

আর এই অবস্থায় বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ এতটাই বেড়েছে যে ‘দুর্নীতি মুক্ত’ হয়ে মানুষের আস্থা ফিরে পেতে দলীয় কর্মীরা এবার সঙ্ঘের স্মরনাপন্ন হচ্ছেন। সব মিলিয়ে, যে বিজেপি তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তাদের প্রভাবশালী নেতাদের নামই এবার বড়সড় দুর্নীতিতে জুড়ে যাচ্ছে। তাও আবার ক্ষমতায় আসার আগেই! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নিয়ে এখনই কড়া পদক্ষেপ বা দলীয় স্তরে তদন্ত করে এই নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের স্পষ্ট বার্তা না দিলে, আগামী দিনে বিজেপির পক্ষে লড়াই আরও কঠিন হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!