এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমাদের কিছু লুকোনোর নেই, সব অডিট হবে! আমপানের দুর্নীতি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর

আমাদের কিছু লুকোনোর নেই, সব অডিট হবে! আমপানের দুর্নীতি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথমে করোনা তারপর আমফান এই দুইয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তার মধ্যেই বিরোধী শিবিরের ক্রমাগত দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ রাজ্য প্রশাসনকে আতান্তরে ফেলে বলে মনে করা হচ্ছে। উপরন্তু শাসকদলের কানে এসে পৌঁছায়, নিচুতলার বহু কর্মী, নেতা দুর্নীতি শুরু করেছে আমফানের ত্রাণ নিয়ে। চলছে স্বজনপোষণ। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় শাসকদলের বিরুদ্ধে। অবস্থা তড়িঘড়ি আয়ত্তে আনতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে তৃণমূল শিবির।

যাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে, তাঁদেরকে করা হচ্ছে শোকজ। যাঁদের ত্রাণ পাওয়ার কথা নয়, তাঁদের ঘরে যদি ত্রাণ যায়, তাহলে সেই টাকা বর্তমানে ফেরতের ব্যবস্থা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এদিন তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, আমফানের ত্রাণ তহবিলে 40 কোটি টাকা জমা পড়েছে এবং সেই টাকা অবশ্যই অডিট করা হবে।

এদিন তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ত্রাণের টাকা সাধারণ মানুষের জন্যই খরচ করা হবে। অন্য কোন ক্ষেত্রে হবেনা। বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে, আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণের টাকা পৌঁছাচ্ছে না। উল্টে পঞ্চায়েত পুরসভার দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে সেই টাকা পৌঁছে যাচ্ছে শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের ঘরে। অর্থাৎ প্রবল হারে স্বজনপোষণ চলছে। ঘটনা প্রশাসনের কানে আসামাত্রই দলীয় স্তরে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁদেরকে সাথে সাথে শোকজ করা হচ্ছে এবং জবাবদিহি চাওয়া হচ্ছে বলে খবর। জবাব ঠিকঠাক না দিতে পারলে তাঁদেরকে সরিয়েও দেওয়া হচ্ছে। উপরন্তু যাঁরা ভুল করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসল ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “সরকারিভাবে এই অর্থ শুধুমাত্র মানুষের জন্য। অন্য কোন কাজে টাকা খরচ করা যাবেনা। 50 টাকাও মানুষ দিয়েছেন, এক টাকাও সম্মানের। সবটাই মানুষের জন্য অডিট হবে। খরচটা করা হচ্ছে অর্থ দপ্তর থেকে। যাতে সবকিছুতে স্বচ্ছতা থাকে।”

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণ কিছুটা স্বস্তি পেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের মন্তব্য অবশ্যই অন্য। তাঁদের মতে, দুর্নীতি যেভাবে ছেয়ে ফেলেছে তৃণমূল শিবিরে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কতটা সম্ভবপর হবে তা বলবে সময়। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দলীয় শুদ্ধিকরণ যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই মুহূর্তে তা সর্বান্তকরণে মেনে নিয়ে কাজে নেমেছে তৃণমূল শিবির। তবে এই শুদ্ধিকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে হবে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!