এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের সাধের সংখ্যালঘু ভোটে লাগতে চলেছে জোড়া ধাক্কা? ঘুম উড়ছে মমতার? হাসি চওড়া বিজেপির?

তৃণমূলের সাধের সংখ্যালঘু ভোটে লাগতে চলেছে জোড়া ধাক্কা? ঘুম উড়ছে মমতার? হাসি চওড়া বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এ বাংলার লড়াই জমজমাট হতে চলেছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপি ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলেও তাদের কিছু ভোট অফ শতাংশের জন্য ক্ষমতায় আসা বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মূলে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দখলে আনার জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

অন্যদিকে ত্বহা সিদ্দিকী চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, 44 টি আসন তাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আর বাকি বেশকিছু আসনে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর যদি তৃণমূল কংগ্রেস তা করতে রাজি না হয়, তাহলে তিনি তা ঘেটে দেবেন। স্বভাবতই ত্বহাব সিদ্দিকী যখন এই কথা বলছেন, তখন তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তৃনমূলের দখলে রয়েছে রাজ্যের 42 শতাংশ ভোট। যার মধ্যে 27 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট এবং 15 শতাংশ হিন্দু ভোট। অন্যদিকে বিজেপির দখলে 40 শতাংশ ভোটের মধ্যে পুরোটাই হিন্দু বলে দাবি করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই 2-1 শতাংশের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কাছে অনেক আসনে পরাজিত হতে পারে বলে মত একাংশের।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের চিন্তা বাড়িয়ে হায়দ্রাবাদের দল মিম বাংলার রাজনৈতিক গতি প্রকৃতির দিকে নজর রেখে চলেছে। যার ফলে তারাও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় নিজেদের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে অনেকের প্রশ্ন, প্রথম নির্বাচনে লড়ে অত ভালো ফল করতে পারবে না এই রাজনৈতিক দল। যার ফলে অতটা চাপের কিছু নেই। কিন্তু একাংশ বলছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর দল যদি 5% ভোট নিজেদের দখলে রাখে এবং মিম যদি দুই শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে রাখে, তাহলে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে যথেষ্ট প্রভাব পড়বে।

যার ফলে তৃণমূলের ভোট শতাংশ নেমে চলে আসতে পারে 34 অথবা 35 শতাংশে। আর এটাই চিন্তা বাড়াবে ঘাসফুল শিবিরের। স্বভাবতই যদি এমনটা হয়, তাহলে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। কেননা বিজেপি যদি নিজেদের ভোট অফ শতাংশ 40 রাখে, তা হলেও অনেক আসনে ভোট কাটাকুটিতে পরাজিত হবে তৃণমূল প্রার্থী। যার ফলে বিজেপি প্রার্থীরা সেই আসনে জয়লাভ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বলাবাহুল্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেও কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করলেও তারা সেভাবে সাফল্য পায়নি। কিন্তু এবার তারা নতুন করে এখন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ময়দানে ঝাপাতে শুরু করেছে।

বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপকভাবে সাফল্য পাওয়ার পর অনেকেই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল, বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই ভারতীয় জনতা পার্টি এত আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে বাম এবং কংগ্রেস এবার আবার জোট করায় বামেদের যে ভোট বিজেপিতে চলে এসেছিল, তা আবার বামেদের দিকে ফেরত যেতে পারে। যার ফলে চাপে পড়তে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেখানে যদি বিজেপির কিছুটা ভোটে ধ্বস নামে, তাহলেও বিজেপি 36 থেকে 37 শতাংশ ভোটে দাড়িয়ে থাকবে।

কিন্তু মিমের 2 থেকে 3 শতাংশ ভোট কাটার কারণে তৃণমূল কংগ্রেস 34 থেকে 35 শতাংশ চলে আসবে। যার ফলে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হলেও, আই মিম এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দলের ভোট কাটাকাটিতে 6 থেকে 7 শতাংশ ভোট ক্ষয় হতে পারে ঘাসফুল শিবিরের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি 4 শতাংশ ভোট ধরে রাখতে না পারলেও অনেক আসনে ভোট কাটাকাটিতে শেষ হাসি হাসতে পারেন বিজেপি প্রার্থী বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এতদিন 27% সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দখলে থাকায় জয়লাভ করা নিয়ে অতটা চিন্তার ভাঁজ পড়েনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে। এমনকি লোকসভা নির্বাচনে খুব একটা ভালো ফল না করলেও সংখ্যালঘু তোষণ করে তিনি বেশ করেছেন বলেও জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা পরবর্তীতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে। কিন্তু এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট যখন দ্বিধা বিভক্ত হতে চলেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন মুকুল রায়। আর এই মুকুল রায়ের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর‌। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস বলে একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। যার শীর্ষ নেতা হিসেবে রয়েছেন ফরিদ খান। ফলে তিনিও সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত। তাই সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যুক্ত মুকুল রায়ের অত্যন্ত সুসম্পর্ক থাকায় এবং তিনি বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পর তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতেই সংখ্যালঘু ভোটের মূল হোতা এই সমস্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘাসফুল শিবিরের ঘুম উড়িয়ে দেবেন বলেই দাবি করছে একাংশ।

আর এই অসম্ভবকে যদি সম্ভব করতে পারেন মুকুল রায়, তাহলে একদিকে মিম, অন্যদিকে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী এবং মুকুল রায়ের ক্যারিশমায় সংখ্যালঘু ভোট কার্যত প্রধান কাটা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে শাসক শিবিরের কাছে‌। যার ফলে ফায়দা তুলতে সক্ষম হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!