এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের বাইক বাহিনীর দাপটে ঘরছাড়া তৃণমূলেরই নেতা-কর্মীরা! তীব্র অস্বস্তি শাসকদলের অন্দরে!

তৃণমূলের বাইক বাহিনীর দাপটে ঘরছাড়া তৃণমূলেরই নেতা-কর্মীরা! তীব্র অস্বস্তি শাসকদলের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিপিএম আমলে একসময় চূড়ান্ত অভিযোগ উঠেছিল বাইক বাহিনীর অত্যাচারের কথা। এবং এই অভিযোগ করতো তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যে। কিন্তু বর্তমানে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে বাইক বাহিনী। তবে এবার বাইক বাহিনীর উত্তরাধিকারীর পরিবর্তন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নাম এসেছে শাসকদলের। বহুদিন ধরেই তৃণমূল শিবির দুর্নীতির অভিযোগে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে আবার নতুন করে অভিযোগ উঠছে বাইক বাহিনীর অত্যাচারের।

এবং এই অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লক থেকে। সূত্রের খবর, বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মডেল বাজার এলাকায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বাইক বাহিনী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এবং এই পুরো ঘটনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এলাকাছাড়া প্রায় 50 জন পরিবার যার মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূলের নেতা এবং কর্মী।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত নেতা চূড়ান্তভাবে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবাদ জানালে সঙ্গে সঙ্গে মারধর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকার এক আইনজীবী মহিলাসহ 3 জনকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বসিরহাট মহকুমা আদালতের তৃণমূলের আইনজীবী জিয়ারুল মোল্লা জানিয়েছেন, এলাকায় সুপারভাইজার মনিরুল মোল্লা উক্ত নেতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাঁকে হেনস্থা হতে হয়েছে। মার খেতে হয়েছে। এমনকি তাঁর পরিবারকেও হেনস্থা সইতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে জেলা নেতৃত্ব। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর বিধানসভার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এবং পরবর্তীতে যে উক্ত নেতাকে আরো কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে, সে কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সদস্য অভিযুক্ত নেতা সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে খবর।

বরং পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, আর সেজন্যই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এ ধরনের কথা ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের নিচু স্তরের নেতাদের চূড়ান্ত গাফিলতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদী চরিত্র সামনে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা অনেক আগেই আয়ত্তে আনা উচিত ছিল শাসক মহলের। তবে রাজ্যের আগামী বিধানসভার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই যে শাসক শিবির নিজেদের ছবি পাল্টাতে শুরু করেছে, সেকথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তবে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে দলের শুদ্ধিকরণ করতে কতটা পারবে শাসক শিবির সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!