এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কঠোর সিদ্ধান্ত! আমপানের দুর্নীতি সামনে আসতেই বড়সড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা!

কঠোর সিদ্ধান্ত! আমপানের দুর্নীতি সামনে আসতেই বড়সড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা!


ভয়াবহ দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। তবে বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের নানা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া হলেও, তাতে ভাগ বসাচ্ছেন শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা ছোট, বড়, মেজো নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার আর শুধু মুখের কথা নয়, এবার সেই সমস্ত দুর্নীতিতে যুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। জানা গেছে, ভয়াবহ দুর্যোগ আমপানের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় তৃণমূলের এক প্রধানের স্ত্রী এবং তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নাম ছিল।

এবার সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সেই গরলগাছা পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ সিংহকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গেছে, সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যার পরে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সেখানে এভাবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতি করায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির। আর এবার পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে এবং জনসাধারণের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে সেই পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও কথা বলি। তার পরামর্শ অনুযায়ী জেলা সভাপতিকে বলেছি, ওই প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে।”

একইভাবে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “আমি সাংসদের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আমরা দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস করব না।” এদিকে এই গোটা ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিরোধীরা বলছে, এখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল নিজেদের ভাবমূর্তি সহ্য করতে দলের প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে। আসলে এই সমস্ত কিছুই লোক দেখানো।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেরিতে হলেও হয়ত তৃণমূল নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির উদয় হচ্ছে। কিন্তু যখন তাদের এই শুভ বুদ্ধির উদয় হতে শুরু করেছে এবং যখন দুর্নীতির ঘটনায় তাদের নেতা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন সময়ের অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন সাধারণ মানুষের কাছে ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, তা কতটা ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!