লকডাউনের মধ্যেই এবার গ্যাস চুরির বিস্ফোরক অভিযোগ! তুলকালাম কান্ড খোদ বাংলার বুকে! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 18, 2020 লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষ এমনিতেই গৃহবন্দী। রোজগারপাতি এই সময় বন্ধ। সরকার থেকে যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু তা সত্বেও কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কার্যকলাপের জেরে নিত্যদিন রাজ্যের কোথাও-না-কোথাও শুরু হচ্ছে ঝামেলা। সম্প্রতি রেশন বিতরণ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উঠেছে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁরা রেশন সামগ্রী কালোবাজারিদের বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় নতুন করে এবার রান্নার গ্যাস চুরির অভিযোগ উঠল। সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত গ্যাস ডিলারের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজারে। সম্প্রতি ইংরেজবাজারে ইন্ডেন গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়ি আটক করা হয় গ্যাস চুরির অভিযোগে। যদিও গ্যাস চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে ডিলার। মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী জানা গেছে, ইতিমধ্যে গ্যাস ডিলারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই ঘটনার তদন্তে এবার আসরে নেমেছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। বুধবার মালদার ইংরেজবাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি গাড়ি আটক করেন গ্রাহকরা। তারপর প্রতিটি গ্যাস নামিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সামনেই ওজন করে দেখানো হয়। সেখানেই ধরা পড়ে যায় সিলিন্ডারের ওজন কম। সাথে সাথে পুলিশ গ্যাস সিলিন্ডারসহ গাড়ি আটক করে। জানা গেছে, গ্যাসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ হচ্ছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মিল্কি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে গ্যাস চুরির অভিযোগ নিয়ে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার থানার নিয়ামতপুরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, নিয়ামতপুরের ওই গ্যাস সংস্থার গ্রামীণ বিতরণ কেন্দ্রের মালিক ইন্দ্রজিত দাস এই সমস্ত ঘটনার পেছনে। এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা বুঝতে পারছিলেন গ্যাস সিলিন্ডারে ওজন কম থাকছে। এদিন গাড়ি ভর্তি সিলিন্ডার আটক করে ওজন করা হয়। এবং প্রত্যেকটি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে দেখা যায় 500 থেকে 2 কিলোগ্রাম পর্যন্ত গ্যাস কম থাকছে। এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় এলাকায় এবং গ্যাসের গাড়ি আটকে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সাজিরুল ইসলাম জানিয়েছেন,’বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সন্দেহ হচ্ছিল। তাই এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে আজ গ্যাস সিলিন্ডারগুলি ওজন করি। ওজন করতেই দেখা গেল প্রত্যেক সিলিন্ডারে গ্যাস কম আছে।’ ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল সোজাসুজি উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার ইন্দ্রজিত দাস এর দিকে। ইতিমধ্যে গ্যাস চুরির অভিযোগে সরব হয়ে এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে গ্যাস এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করুক সরকার। অন্যদিকে ঘটনার সময় গ্যাসের ওজন কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ইন্ডিয়ান গ্রামীণ বিতরণ কেন্দ্রের গাড়ির চালককে আটক করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিলার ইন্দ্রজিৎ দাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সোজাসুজি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, ‘গ্যাস কোম্পানিই সিলিন্ডারে কম গ্যাস দিচ্ছে এতে আমাদের কিছু করার নেই।’ যদিও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এই ঘটনায় এখনো এলাকায় উত্তেজনা কায়েম রয়েছে বলে জানা গেছে। শানীয় সূত্রে অবশ্য জানা গেছে, পুলিশ এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন দোষী ডিলারের শাস্তির ব্যাপারে। আপাতত গ্যাস চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন দোষীর বিরুদ্ধে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -