সরকারি মঞ্চে নিয়ম না মেনে জমিয়ে রাজনৈতিক প্রচার! তীব্র বিতর্কের মুখে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য August 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় বাম আমলে সরকারি আমলাতন্ত্রে দলীয় রাজনীতিকরণ জাঁকিয়ে বসেছিল বলে অভিযোগ তুলে সরব হত তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর তারা এই কাজ করবে, তা স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গাতে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল এবং প্রশাসন এক হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অনেক সরকারি পদাধিকারীকে মঞ্চের মধ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে দেখে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। আর এবার সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে গেলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তৃণমূলের দেবু টুডু। সূত্রের খবর, সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ফুটবল মাঠে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনৈতিক কথা বলে ফেলেন তৃণমূলের দেবু টুডু। তিনি বলেন, “35 বছরের একটা সরকার আদিবাসীদের জন্য কিছু করেনি। গরিব সাঁওতাল মানুষগুলো ঝান্ডা বয়েছে। আর সাঁওতালবাবুরা পদে বসেছে। সাঁওতাল আদিবাসীদের কোনো উপকার হয়নি। কেউ তাদের জন্য কিছু ভাবেনি। 2011 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী গরিব মানুষদের জন্য অনেক প্রকল্প তৈরি করেন। ধর্মের মুখোশ পড়ে সাঁওতালদের মধ্যে অনেকে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা হবে না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে দেবু টুডু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন, তখন সেখানে বসেছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ বেশকিছু প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। ফলে কেন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চকে রাজনৈতিক বক্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন এই তৃণমূল নেতা, এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের বক্তব্য, ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সরকারি অনুষ্ঠানের কথা বলার কথা থাকলেও, সেখানে থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। এমনকি এখনও পর্যন্ত নানা প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। ফলে যে দলের নেত্রী এই ধরনের কথা বলেন, তার দলের নেতারা এই ধরনের বক্তব্য দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার এবং দলের মধ্যে ফারাক বজায় রাখা উচিত। নাহলে জনসাধারণের মনে শাসকদল সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা মাঠে নামলে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে। স্বাভাবিকভাবেই আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর রাজনৈতিক বক্তব্য এখন রীতিমত বিতর্ক তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -