এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপানের টাকা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি! স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতেই “ব্যবস্থা” নেওয়া শুরু

আমপানের টাকা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি! স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতেই “ব্যবস্থা” নেওয়া শুরু


ভয়াবহ সাইক্লোন পশ্চিমবঙ্গের চালানোর পর প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। যার পরবর্তীতে সাধারণের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর্থিকভাবে সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে দুই সরকারকেই। কিন্তু দুর্গতদের বাড়িঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য করা হলেও, সেখানে বারবার গরমিল এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। যার ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হতে শুরু করেছে।

উপরমহল থেকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে রং, বর্ণ না দেখে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দিলেও, নিচুতলায় কাছের লোকদের সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। জানা গেছে, উত্তর 24 পরগনার বাগদা ব্লকে ভয়াবহ সাইক্লোনের দাপটে প্রায় হাজারের মত বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এবার তা নিয়েই আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।

একাংশের দাবি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেরই এই তালিকায় নাম নেই। আশ্চর্যজনকভাবে যাদের কিছুই ক্ষতি হয়নি, তাদের এই তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। আর এতেই রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে স্বজনপোষণের। তবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সোমবার নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত কুমার সামন্তর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। যেখানে প্রধান কোটায় তিনি কয়েকজনের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে তা বাতিল করে দেন স্থানীয় বিডিও। অন্যদিকে এই পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রিয়া জানার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠতে শুরু করে।

আর সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও, যেভাবে প্রধানরা তাদের ঘনিষ্ঠদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, তাতে রীতিমত ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধীরা। বিরোধীরা এই গোটা ঘটনাকে ইস্যু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার ময়দানে নামতে শুরু করেছে। কেন এমনটা হচ্ছে?

কেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বাগদার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য পরিতোষ সাহা বলেন, “পুরনো তালিকায় কমবেশি সব পঞ্চায়েত থেকেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের থেকে বেশি নাম ঢুকে পড়েছিল।” আর এতেই এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিডিওর পক্ষ থেকে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়াতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, প্রশাসন এখন কিছুটা হলেও এই ঘটনায় চাপে পড়েছে।

যেভাবে প্রধানরা তাদের ঘনিষ্ঠদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, তাতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ছে। আর তাই প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে সেই দুর্নীতি যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য নির্দেশ আসার পরেই হয়ত বা বিডিও নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু এতে করে সামরিক দুর্নীতি বন্ধ হলেও, সুদুরপ্রসারী দুর্নীতি বন্ধ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!