এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “আমরা দাদার অনুগামী” পোস্টার ঘিরে রহস্যের পাশাপাশি শুভেন্দুর রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়েও শুরু বিতর্ক!

“আমরা দাদার অনুগামী” পোস্টার ঘিরে রহস্যের পাশাপাশি শুভেন্দুর রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়েও শুরু বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী নামটি নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের অস্বস্তির শেষ নেই। দলের একসময়ের দাপুটে যোদ্ধা এখন অনেকটাই ম্রিয়মান। দলের সঙ্গে সম্পর্কও তাঁর প্রায় তলানীতে। বারবার দলহীন জনসংযোগ করছেন তিনি। তাঁর অনুগামীদের মাঝেমাঝে বলতে শোনা যায় যে, শুভেন্দু অধিকারী তার যোগ্য সম্মান দলের কাছে পাননি। অনেক লড়াই করে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন তিনি। কিন্তু এখন তাঁকেই কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে দল। এমনি নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর অনুগামীদের।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মতো এতটা জনপ্রিয় নেতা শাসক দল তৃণমূলে খুব কমই আছেন। অনেকেই বলে থাকেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর পর জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তিনিই আছেন। জেলায় জেলায় আছে তাঁর অনুগামী। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও আরো কিছু জেলাতে তাঁর নামে, তাঁর সমর্থনে বহু পোস্টার, ব্যানার টাঙ্গাতে শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা। আজ পরপর তিনটি জেলায় দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার। যেখানে লেখা আছে ‘আমরা দাদার অনুগামী’। এই পোস্টার গুলিকে কেন্দ্র করে তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক জল্পনা। আর ততটাই অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদল তৃণমূলের।

আজ সকালে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারের বিভিন্ন এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া বেশ কিছু পোস্টার পাওয়া গেল। যে পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ প্রচারক হিসেবে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম। তাঁর জনৈক অনুগামী জানাচ্ছেন যে, রাজনৈতিক কারণে এই পোস্টার দেওয়া হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মান জানাতেই এই পোস্টার দিয়েছেন তাঁরা।

আবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিভিন্ন স্থানেও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার জ্বলজ্বল করছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই নদীয়া জেলার চাকদাতেও শুভেন্দু অধিকারী ছবি দেওয়া পোস্টার পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও লেখা রয়েছে, ‘আমরা দাদার অনুগামী’। কিছুদিন আগে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম দেওয়া পোস্টার পাওয়া গিয়েছিল। যে কারণে তিব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্টারকে ঘিরে জোরতার রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে যে, এই পোস্টার দানের কাজটি পুরো বিজেপির। শাসক দল তৃণমূলকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই বিজেপি এই চক্রান্ত করেছে। তবে এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির দাবি, তৃণমূল দলের বহু সদস্যকে দলে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে। এই নেতাদের পেছনে জনসমর্থন আছে। এ কারণেই তাঁর নামে এরকম পোস্টার পড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার দান সম্পর্কে তৃণমূলের জনৈক বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি জানালেন যে, পোস্টার, ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর ও দলের পতাকার নাম ছবি থাকা অত্যাবশ্যক। তা যদি না থাকে, তবে দলের কর্মসূচি হিসেবে তা গৃহীত হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী ছবি ছাড়া পোস্টার দেওয়া কখনই উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া পোস্টার দিতে তিনি দলের কর্মীদের নিষেধ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিতেই হবে, তা না দিলে সেই কর্মসূচিতে দলের নেতা-কমীদের যোগদান করা উচিত নয়।

শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্টার দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করল বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, তৃণমূলের অবস্থা এখন বাঁধাকপির মতো হয়ে গেছে। পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে আর কপিটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্থানের বড় কারণ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে কখনোই ভুলে যাওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আজ যেখানে পৌঁছেছেন তার নেপথ্যে আছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের এক্ষেত্রে অবদান সবচেয়ে বেশি। তাঁদের বিশেষ অবদানের কারণেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘আমরা দাদার অনুগামী’ লেখা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি হলো। অনেকে প্রশ্ন করছেন যে, শুভেন্দু বাবু কি তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন? তৃণমূল ছেড়ে কি তিনি নতুন কোন দল গঠন করতে চলেছেন? নাকি তিনি হাত মেলাতে চলেছেন বিজেপির সঙ্গে? এই পরিস্থিতিতে একাধিক জেলায় শুভেন্দু বাবুর অনুগামীদের প্রস্তাব দেওয়ায় বিতর্কর আগুনে ঘৃতাহুতি করল বলে মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!