এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উৎসবের মরশুমে বড় নির্দেশিকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহকারীদের জন্য, বাড়ছে ক্ষোভ

উৎসবের মরশুমে বড় নির্দেশিকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহকারীদের জন্য, বাড়ছে ক্ষোভ


বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিএ বা কেন্দ্রীয় হারে বেতন না দেওয়া নিয়ে যতই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের খুব থাকুক – বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকার যে ছুটি দিতে কোন কার্পণ্য করেন না, তা মুক্ত কন্ঠেই মেনে নেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ফলে, স্বভাবিকভাবেই এবারেও পুজোয় সরকারি কর্মীদের ছুটির বহর কমেনি এতটুকুও। কিন্তু সরকারি কর্মীরা ছুটি পেলেও এবার রাজ্যের অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকাদের প্রতি কিছুটা কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ উঠেছে।

চতুর্থীর দিন থেকেই রাজ্যের ‘প্রায়’ সমস্ত জায়গায় পুজোর ছুটি পড়ে গেছে। ‘প্রায়’ কথাটা লিখতে হচ্ছে এই কারণেই যে, প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারের ছুটির আওতায় থাকার কথা ভেবেছিলেন রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা। কিন্তু, উৎসবের মরশুমে যখন অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে পুজো দেখতে বা কোন স্থানে বেড়াতে গিয়ে আনন্দ করছেন তখন এক ‘নির্দেশিকা’ দেখিয়ে ছুটি বাতিল হচ্ছে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কি সেই নির্দেশিকা? সূত্রের খবর, মাসে অন্তত ২১ দিন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলা রাখার কথা। যদিও, অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। তবে – এই ব্যাপারে রীতিমত কড়া রাজ্য সরকার। এমনকি, এবারে উৎসবের মাঝে কোন কোন দিনে ছুটি থাকবে আর কবেই বা সেন্টার খুলতে হবে সেই ব্যাপারে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে একটি চিঠি দিলেন নারী, শিশু এবং সমাজ কল্যান দপ্তরের অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের অধিকর্তা এন জি হীরা।

রাজ্য সরকারের তরফে দাবি, রাজ্যের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মূল উদ্দেশ্যই হল ছোট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং স্তনদায়ী মায়েরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পান। কিন্তু, উৎসবের সময় যদি সরকারি কর্মীদের মত তাঁদেরও বিপুল ছুটি দেওয়া হয় – তাহলে তো এই পরিষেবা শিকেয় উঠবে। আর তাই চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে দশমী এবং কালীপুজোর দিনই শুধু ছুটি পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। অর্থাৎ, আগেকার মত লক্ষীপুজো এবং ভাইফোঁটার দিন কোনো ছুটি আর পাবেন না তাঁরা।

এমনকি, এই ব্যাপারে জেলাশাসকদের তদারকি করবারও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের নারী শিশুকল্যান দপ্তরের অঙ্গনওয়ারী বিভাগের অধিকর্তা এন জি হীরা। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বেড়েছে রাজ্যের ২ লক্ষ ৩০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহকারীদের মধ্যে। এমনিতেই, পুজোর অনুদান একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁরা হাতে পেয়েছেন – তাও অনেক তদ্বির করার পর। তাছাড়া, প্রাপ্ত বেতন নিয়েও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ তো রয়েছেই – এরই মাঝে সান্ত্বনা বলতে হাতে ছিল শুধু পুজোর ছুটি, রাজ্য সরকারের কড়া অনুশাসনে তাও এবার যাওয়ায়, রীতিমত ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!