এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অনুব্রত গড়ে তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত, জেনে নিন!

অনুব্রত গড়ে তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত, জেনে নিন!


রাজ্যের সিংহভাগ পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাসক দল। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে রয়েছে দলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের দুর্ব্যবহার এবং দুর্নীতি। তাই এবারের পৌরসভা নির্বাচনে যাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বচ্ছ মুখকে প্রার্থী করা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমকে দিয়ে নানা সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। আর সেই সমীক্ষা মোতাবেক রাজ্যের সিংহভাগ পৌরসভায় তৃণমূল প্রার্থী ঠিক করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভায় এবার জেতা ওয়ার্ডগুলো আবার জিততে সেখানে নতুন মুখ আনতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটের ফলাফল যদি দেখা যায়, তাহলে 18 টি ওয়ার্ডের মধ্যে এই পৌরসভার 15 টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর পৌরসভা নির্বাচনে যদি এই ফল হয়, তাহলে তৃণমূলকে বোর্ড হারাতে হতে পারে। তাই নতুন মুখ নিয়ে এসে ওয়ার্ডগুলিতে বিরোধী দলকে টেক্কা দেওয়াই এখন মূল লক্ষ্য রাজ্যের শাসকদলের। যেখানে সাংস্কৃতিক এবং সমাজকর্মীকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

পাশাপাশি বিরোধীদের দখলে থাকা 5 এবং 17 নম্বর ওয়ার্ডের দখল করতে মরিয়া তারা। ইতিমধ্যেই 5 নম্বর ওয়ার্ডে ঘাটি গেড়ে সেখানকার বিজেপির কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নিজেদের দখলে থাকা ওয়ার্ডগুলিতে যদি জেতা না যায়, তাহলে তৃণমূলের মুখ পড়বে। আর সেই ব্যাপারটি অনুধাবন করেই এবার নিজেদের জেতা ওয়ার্ডগুলোকে ফের জেতানোর জন্য সেখানে স্বচ্ছ মুখ আনছে রাজ্যের শাসক দল। তবে দলে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে দলের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এমনকি অনেকে আবার এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনি এলাকায় সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। তাই তাকেই প্রার্থী করা হোক। তবে এসব কি কাজে দেবে! কেননা যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের টিম সমীক্ষা করছে এবং দলের কাছে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, তাতে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই দল স্বচ্ছ লোকেদের প্রার্থী করবে বলে মত একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে শহর তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসা প্রার্থীদের নামের তালিকা জেলায় পাঠানো হবে। জেলা সেখান থেকে বাছাই করে নামের তালিকা রাজ্যে পাঠাবে। আমাদের লক্ষ্য বিরোধীশূন্য পৌরবোর্ড গঠন করা। সেক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে এমন কাউন্সিলরদের আর টিকিট দেওয়া হবে না। ওই কাউন্সিলরদের স্ত্রী এবং অন্য কাউকে প্রার্থী করা হবে না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে রামপুরহাটে তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমস্ত প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা নির্ধারিত হবে। আমরা আমাদের প্রাথমিক অবজারভেশন জেলায় পাঠাব। এরপর জেলা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” সব মিলিয়ে এবার বিরোধীশূন্য পৌরবোর্ড গঠন করতে রামপুরহাটে তৃণমূল প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!