এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অর্জুনের বিজেপি যোগ! আতঙ্কিত মমতার মুখে এ কোন কথা? জানলে চমকে যাবেন!

অর্জুনের বিজেপি যোগ! আতঙ্কিত মমতার মুখে এ কোন কথা? জানলে চমকে যাবেন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মিথ্যে রাজনীতিবিদ এই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে, এমনি এমনি বিরোধীরা এই কথা বলে না। আজকে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন সিংহকে নিয়ে যা বললেন, তা শুনে অনেকে বলছেন যে, কোন বিশ্বাস নিয়ে তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে নেতারা দল করবেন? যখন তখন তাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তো তাদেরকেও বিজেপি বলে দাগিয়ে দিতে পারে। যখন প্রয়োজন ছিল, তখন এই অর্জুন সিংহকে পতাকা ধরিয়ে দলে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। আর এখন সেই অর্জুন সিংহ যখন দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আবার বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী এক আশ্চর্যজনক কথা বললেন। যা শুনে সকলেই চমকে যাচ্ছেন। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, কি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ বিশ্বাস করবেন? কিন্তু কেন এই প্রশ্ন উঠছে।

প্রসঙ্গত, অর্জুন সিংহ তৃণমূল দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুরে লড়াই করছেন, তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, খুব দ্রুত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হতে পারেন। আর এই প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এক আজব কথা বলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন “ও তো বিজেপিতেই ছিল। ও কিন্তু বিজেপির এমপি। সুতরাং যে যেখানে খুশি যেতে পারে। আমরা পলিটিক্যালি লড়াই করব। ওখানে আমাদের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। খুব ভালো কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে প্রার্থী পরিবর্তন করবেন না, এটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। যাই হোক, তার দল তিনি কি করবেন, সেটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো একটা জিনিস ভেবে পাচ্ছেন না যে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যখন বিধানসভার ভেতরে বিজেপির বিধায়কদের দলে নেন, তখন তো ফলাও করে প্রচার করেন যে, বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরলো। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তো অন্য কোনো দলে গেলে জনপ্রতিনিধি থেকে ইস্তফা দিতে হয়, সেটা তখন কেন করা হয় না? তখন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন না যে, যারা এসেছেন, তারা বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই আছেন! কোথায়! তখন তো তার মুখ থেকে এই ধরনের কোন কথা শোনা যায় না? আর আর একটি প্রশ্ন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অর্জুন সিংহ যে যুক্ত হয়েছিলেন, সেটা ছবিতেই রয়েছে। তাহলে অর্জুন সিংহ যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন, তখন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বলেননি যে, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আজকে সেই অর্জুন সিংহ দল পরিবর্তন করবেন জেনে, ব্যারাকপুরে জেতা কঠিন হবে জেনে তাকে গৌণ করার জন্যই কি বিজেপির সাংসদ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তবে তার এই মিথ্যে, ভাওতাবাজির রাজনীতি যত সময় যাচ্ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে যখন আঙুল ওঠে, তিনি যখন অস্বস্তিতে পড়েন, তখন তিনি কাউকে অস্বীকার করতে দুবার ভাবেন না। এটাই বরাবর করে এসেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার কাছ থেকে অর্জুন সিংহ বিজেপিতে আছেন, এইরকম কথাই তো শোনা যাবে। কারণ তিনিও খুব ভালো মতো জানেন যে, অর্জুন সিংহ যদি তার দলের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তাহলে এখানে কোনোমতেই তৃণমূলের পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। গতবারেই অর্জুনবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, মমতা ব্যানার্জির ক্যারিশমা বলে কিছু নেই। আর এবারেও তিনি সেটা প্রমাণ করে দেবেন। তাই এসবের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বিভ্রান্ত। তিনি কি বলছেন, তা তিনি নিজেই জানেন না। তাই আবার অর্জুন সিংহকে নিয়ে এমন একটি কথা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের সামনে বললেন, যার ফলে নিজেই নিজের কাছে চূড়ান্ত হাসির পাত্র হয়ে গেলেন। তিনি যে সবসময় মিথ্যে কথা বলেই রাজনীতি করেন, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল বাংলার মানুষের কাছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!