এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা-বাবুনের গন্ডগোল! ইস্যু ঘোরাতে সবটাই ড্রামা? ফেঁসে গেল তৃণমূল!

মমতা-বাবুনের গন্ডগোল! ইস্যু ঘোরাতে সবটাই ড্রামা? ফেঁসে গেল তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং বিজেপির পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক যে মাস্টারস্ট্রোক দিচ্ছে, যেভাবে তারা মানুষের জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাতে জেরবার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সবাই চুপ করে গেলেও একমাত্র কানের কাছে চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। যারা নাগরিকত্বের দাবিতে এতদিন আন্দোলন করেছিলেন, তাদের সেই দাবি পূরণ করে সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের মনে খুশির হাওয়া এনে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আপামর প্রচার করতে শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। তবে সেটা করতে গিয়ে তারা আবার একটা বড় হোঁচট খেলো। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যখনই দেখেন যে, সামনে সমূহ বিপদ, তখনই তারা এমন একটা ইস্যু তৈরি করে দেন, যাতে সেই ইস্যু নিয়ে টেলিভিশন মিডিয়াতে জোরদার চর্চা চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা যে নাটক করছেন, সেটা ধরা পড়ে যায়। এর আগেও কুনাল ঘোষকে দিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করানো থেকে শুরু করে দলের ভেতরে একাধিক নেতার সঙ্গে একাধিক নেতার গন্ডগোল বিভিন্ন ইস্যু তৈরি হয়েছিল। কিছু সময়ের মধ্যেই তা সমাধান হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, ইস্যু ঘোরানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার কাউকে দিয়ে হবে না জেনে নিজেই ময়দানে নেমে পড়লেন। আসলে সিএএর ভয়ে এই রাজ্যের শাসকদল এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে, সংখ্যালঘু ভোট পাবে না জন্য এবার ইস্যুকে এমন ভাবে ঘুরিয়ে দিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যাতে কাজ হবে ভাবলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু তার নাটকটা ধরা পড়ে গেল। কিন্তু কি সেই নাটক! কি এমন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

প্রসঙ্গত, এদিন হঠাৎ করে এই খবরের শিরোনামে চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায়। তিনি আবার হাওড়ার প্রার্থীকে পছন্দ নয় বলে নির্দলের টিকিটে দাঁড়াতে চান। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন যে, তিনি ভাইয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। কিন্তু এর কিছু মুহূর্ত পরেই আবার তার ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায় বলেন যে, দিদি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাই ঠিক। তিনি আর নির্দলের টিকিটে দাঁড়াবেন না। অর্থাৎ ভাই দিদির ঝগড়ার সেই চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে এই গন্ডগোলের সৃষ্টি হল কেন? তাহলে কি এটা প্ল্যান মাফিক গন্ডগোল? অনেকে বলছেন, এমনটা হওয়াটা কিছু অস্বাভাবিক নয়। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএর চাপে রীতিমতো জেরবার। তিনি এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রাখলেও, এই সিএএ লাগু হওয়ার পর একজনেরও কিন্তু নাগরিকত্ব যায়নি। ফলে তার বক্তব্য মিথ্যে বলে প্রমাণিত হচ্ছে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা কিছু তো দেখাতে হবে। ফলে সারাদিন যাতে অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা তার ভাইয়ের সঙ্গে তার গন্ডগোল হয়েছে, এই সমস্ত বিষয়ে খবরের শিরোনামে রাখে, সেই জন্যই একটা নাটক করে বিজেপির প্রচারের হাওয়া কেড়ে নেওয়ার কৌশল করে হাসির পাত্র হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটা সুন্দর থিওরি নিয়েছে। কিন্তু সেটা যদি মানুষের মনে বিশ্বাস করানো যেত, তাহলে ভালো হত। কিন্তু কেউ আর এই দলটাকেই বিশ্বাস করছে না। সেই কারণে হাজার পরিকল্পনা করেও, হাজার গণ্ডগোলের নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু মানুষের মনে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করতে পারছেন না। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হলো। তিনি ভেবেছিলেন যে, তার ভাইয়ের সাথে তার গন্ডগোল, এটা সাধারণ মানুষ বেশ ভালো মত খেয়ে নেবে। আর সেটাই সারাদিন প্রচারের আলোতে থাকবে। কিন্তু না, মানুষ তৃণমূলকে নিয়ে কোনো প্রচার হোক, তৃণমূলকে টিভির পর্দায় দেখা যাক, তৃণমূল নেত্রীর কোনো বক্তব্য সারাদিন ধরে খবরের শিরোনামে থাকুক, এটাই মেনে নিতে পারছেন না। ফলে যদি ঝগড়া সত্যিও হয়, তাহলেও কিন্তু ভাই-দিদির এই সম্পর্কের উন্নতি বা অবনতি নিয়ে সাধারন মানুষ অন্তত বিচলিত নন। তারা চাইছেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবিলম্বে বিদায় দিতে হবে। নাটক বন্ধ করতে হবে তোলামূল দলের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!