এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অর্জুনের পর হুমায়ুন, এবার মুর্শিদাবাদে মহা ফাপড়ে তৃণমূল! মাথায় হাত মমতার!

অর্জুনের পর হুমায়ুন, এবার মুর্শিদাবাদে মহা ফাপড়ে তৃণমূল! মাথায় হাত মমতার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর একটা চালাকি করার চেষ্টা করেন। যেখানেই তিনি জিতবেন না, সেখানেই তিনি সেলিব্রিটি মুখকে দিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার যে তাতে আর চিড়ে ভিজবে না, সেটা সবাই খুব ভালো মতই জানে। আর মানুষের তো সেই সেলিব্রিটি মুখকে মেনে নেওয়া পরের কথা, তৃণমূলের কর্মী থেকে শুরু করে নেতারাই কিন্তু অনেক জায়গায় প্রার্থী থেকে মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই অর্জুন সিংহের মত নেতা নিজের ঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি সরিয়ে দিয়েছেন। খুব দ্রুত তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে খবর। আর তার মাঝেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের গলায় শোনা গেল এক অন্য কথা। যেখানে বহরমপুরে তৃণমূল সেলিব্রিটি মুখ হিসেবে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করে জেতার চেষ্টা করলেও, তার বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়ে নিজের দল এবং নেত্রীর অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

প্রসঙ্গত, এদিন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীকে মানতে না পেরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ে জিততে হলে এই সমস্ত সেলিব্রিটি মুখ দিয়ে বাজিমাত করা যাবে না। পাশাপাশি তিনি যে এবার দলত্যাগ করবেন, সেই ব্যাপারেও ইঙ্গিত দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তবে তিনি অন্য কোনো দলে যাবেন না‌। নিজেই একটি পার্টি খুলে ভোটে দাঁড়িয়ে লড়াই করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুনবাবু। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও দলের একাধিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে এই তৃণমূল বিধায়ককে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যখন একের পর এক নেতা অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন, তখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়ে মুর্শিদাবাদের মত জায়গায় কংগ্রেসের স্বস্তি কিছুটা বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই মনে করছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, যত বড়ই সেলিব্রিটি মুখ দিয়ে বহরমপুর জেতার চেষ্টা করুক তৃনমূল, তাদের এই স্বপ্ন কোনোকালেই পূরণ হয়নি, আর এবারেও হবে না। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি দলের বিধায়করাই বেসুরো হয়ে ওঠেন, তাহলে সেলিব্রিটি তৃণমূল প্রার্থীর জামানত জব্দ হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, এবারের লোকসভায় তার দল ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যেতে পারে। সেই কারণে বেশ কিছু আসনে তিনি চমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে যে গন্ডগোল শুরু হয়েছে, তাতে বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। যদি হুমায়ুন কবীর সত্যিই তৃণমূল দল ত্যাগ করে নিজে পৃথক দল খুলে ভোটে দাড়ান, তাহলে অনেক সমীকরণ বদলে যেতে পারে। ভোট কাটাকুটির কারনে এখানে শেষ পর্যন্ত আসন ছিনিয়ে নিয়ে জয়লাভ করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে মাথায় হাত পড়তে বাধ্য তৃণমূল সুপ্রিমোর। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!