এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আশঙ্কাই সত্যি হলো, অবশেষে সেঞ্চুরি পার করলো জ্বালানির দাম পশ্চিমবঙ্গে

আশঙ্কাই সত্যি হলো, অবশেষে সেঞ্চুরি পার করলো জ্বালানির দাম পশ্চিমবঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আশঙ্কা সত্যি করে অবশেষে সেঞ্চুরি পার করল পেট্রোলের দাম। কলকাতায়  পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ১০ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ৮ পয়সা প্রতি লিটার। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি পার করে গেল। যে জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার। আর সেঞ্চুরির খুব কাছে আছে কোচবিহার।

আজ দার্জিলিং জেলাতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০০ টাকা ৪৮ পয়সা। আলিপুরদুয়ারে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ১০ পয়সা। কোচবিহারে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৯৯ টাকা ৯৯ পয়সা। আবার পেট্রোল এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। বিপদ বাড়ছে মানুষের। গতকাল রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ২৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

একদিকে করোনা মহামারী, তার ওপরে জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাস ভাড়া, ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি পেলে মানুষের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানির ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধিতে কেন্দ্রের দিকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে একাধিক বিরোধী শিবির থেকে। অভিযোগ করা হয়েছে, জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি দিল্লিতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ৯২ টাকা ৫ পয়সা, মুম্বাইতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। একাধিক অর্থনীতিবিদ এই পরিস্থিতিতে জানিয়েছেন যে, জ্বালানি তেলের মূল্যর সঙ্গে বাজারের বহু পণ্যের দাম ওঠানামা করে। তাই কেন্দ্রের একটা বড়সড় পদক্ষেপ নেবার প্রয়োজন। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই জানিয়েছেন যে, জ্বালানি তেলকে জরুরি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করেই এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এই পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জ্বালানির এই ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন যে, তিনি বুঝতে পারছেন যে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এক বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এই অবস্থায় কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য তাঁরা অর্থ সঞ্চয় করছেন।

আনার এ প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন যে, এটা সব সময় বলা হয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কিন্তু তাঁদেরও ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। সরকারের দায়িত্ব হলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি আশা করছেন, যাদের এই দায়িত্ব রয়েছে, তাঁরা এর ভারসাম্য রক্ষা করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!