আসানসোলে সৌজন্যের বাতাবরন তৈরী করতে গিয়ে একমঞ্চেই নারদ-নারদ বাবুল-জিতেন্দ্রর জাতীয় রাজ্য June 19, 2018 স্থান আসানসোল। রেলের অনুষ্টান। উপস্থিত বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং আসানসোলের তৃনমূল কংগ্রেসের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী। দুজনে এলেন, বক্তব্যও রাখলেন তবে কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই চিত্র আমূল বদলে গেল। বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য চলাকালীন নিচে দর্শকাসন থেকে প্রবল হইচই রব উঠল তাঁকে ঘিরে। এখানেই থেমে নেই, উপরে মঞ্চে যখন নেতারা বক্তব্য দিতে ব্যাস্ত তখন ঠিক নিচে তৃনমূল বিজেপি কর্মীসমর্থকদের মধ্যে তখন রিতীমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেছে। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, আসানসোল বাসীর দাবিমতো রাজধানী এক্সপ্রেসকে আসানসোলে দাড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপলক্ষেই এই অনুষ্টানের এই আয়োজন করা হয়েছিল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অনুষ্টান শুরুতেই আসানসোলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয়কে বক্তব্য রাখার আবেদন জানালেও মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারীকেই প্রথমে বক্তব্য রাখতে বলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সরকারী অনুষ্টান হলেও রাজনৈতিক বক্তব্যের ছোয়া থাকবে না তা কী হয়! তাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, ” মহল বানানো হলে এখন কেন্দ্রীয় সরকারের গুনগান করছেন রেলের ডিআরএম। কিন্তু মাথায় রাখা দরকার, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনিই মজবুত ইট দিয়ে এর ভিত স্থাপিত করেছিলেন।” সাথে সাথে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ধন্যবাদ জানালেও সাম্প্রতিককালে তাঁর একটি সিনেমাকে টেনে হিরো হওয়ার জন্য আসানসোলে কয়েকটি ট্রেন ঘোষনার ব্যাপারে তাঁকে খোচাও দেন তৃনমূলের মেয়র। সূত্রে খবর, এরপরই বক্ওব্য রাখতে গিয়ে আসানসোলের মেয়রকেও কটাক্ষ করে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ” 2014 সালে সাংসদ হওয়ার সময় অনেকে আসানসোলে রাজধানী এক্সপ্রেস দাড় করানোর ব্যাপারে আমায় আবেদন জানিয়েছিলেন। এতদিন এখানে সেই ট্রেন দাড়ায়নি, এবার দাড়াবে। আর তাই আমি হিরো ছিলাম আর হিরোই থাকব।” এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এরপরই মঞ্চের নীচ থেকে সাংসদকে উদ্দেশ্য করে মেয়র অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিজেপি তৃনমূলের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে এই প্রবল হাতাহাতি থামাতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী। তবে ততক্ষনে বাবুল সুপ্রিয় মঞ্চ ছেড়ে বেড়িয়ে গেলেও ট্রেন আসা অবধি অপেক্ষা করেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী। সভায় এইরুপ বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ” সুন্দর সভা হলেও মাঝখানে মেয়রের 6/7 জন অনুগামীরা শ্লোগান দিতে শুরু করলে পুরো সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সভা হলেও ওনারা কী এই কাজ করতে পারতেন!” এদিকে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারীও। তিনি বলেন, ” আসানসোলে জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁর উল্লেখ না থাকাতেই জনখন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। মানুষের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে যেটাতে আসানসোল বাসীর ভালো হবে, আমরা তাঁর পাশেই থাকব।” এখানেই অনেকে মনে করছেন, সরকারী অনুষ্টানে আসানসোলের খুশির দিনেও রাজনৈতিক তরজাকে আটকাতেই পারলেন না তৃনমূলের জিতেন্দ্র তিওয়ারী ও বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়রা। আপনার মতামত জানান -