এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলের বিধায়কই এবার বিধানসভায় নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন মন্ত্রীকে

শাসকদলের বিধায়কই এবার বিধানসভায় নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন মন্ত্রীকে

বিধানসভায় এতদিন শাসকদলের বিধায়কদের অপ্রিয় প্রশ্ন করে চাপে ফেলতো বিরোধীরা। এবার নিজেদের দলের বিধায়কদের পাল্টা প্রশ্ন উত্তরে অস্বস্তিতে শাসকদল। জল এত দূর গড়ালো যে স্বয়ং স্পিকার বিধায়কের তোলা সমস্যার দিকে নজর দিতে বললেন মন্ত্রীকে। ঘটনার সূত্রপাত অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর একটি জবাবে। তিনি বলেন তাঁর দফতরে তিনি খুব ভালো কাজ করেছেন আর তাই তফসিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র এখন সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে। আর এতে প্রশ্ন তুলেছেন শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল। এদিন তিনি অভিযোগ করে বলেন সাধারণ মানুষের এমন কোনো সুরাহা হয় নি। তাঁর এলাকাতেই ২৫০-৩০০ পরিবার রয়েছেন যাদের শংসাপত্র পেতে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

নানা ভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে পাঁচ জন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে বিডিও-র দফতরে যেতে হবে, আবার বলা হচ্ছে সেই পাঁচ জনকে বিডিও-র দফতরে হাজির করাতে হবে! নানা ভাবে অসুবিধা করে ব্যাপারটিকে জটিল করা হচ্ছে। এরপর আবার তিনি মাননীয় মন্ত্রীকে বলেন, মাননীয় মন্ত্রীকে বলছি, নিচু তলায় নামুন। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলুন। সাত দিন নয়, সাত মাসে বলুন। যদিও থেমে থাকেননি মন্ত্রী তাঁরও পাল্টা জবাব, আমি বলিনি, সাত দিনের মধ্যে দেব। গড়িমসি সকলে করে না, তবে কেউ কেউ করে। ব্যাপারটায় স্থিতি আনতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ামণিবাবুকে বলেন, আপনি দেখুন, যাতে নিচু তলায় তফসিলি জাতি-উপজাতির মানুষদের ওই শংসাপত্র পেতে সমস্যা না হয়। ফলে ব্যাপারটিকে বেশ উপভোগ করেছেন বিরোধীরা। একটা নতুন ইস্যু চলে এল তাঁদের হাতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!