বিধানসভা নিয়ে কি চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের? ক্ষমা চেয়ে সতর্কবাণী অনুব্রতর! ক্রমশ তীব্র জল্পনা! কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন বিভিন্ন সভা-সমিতি থেকে বিরোধীদের সবথেকে বেশি হুঁশিয়ারি এবং সতর্ক বার্তা দিতে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রতিটি কর্মী সম্মেলন থেকে নিজের দলের কর্মীদের সতর্ক করছেন তিনি। দুর্নীতি থেকে শুরু করে অন্যায়, কোনো কিছুই যে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, তা প্রায় প্রতিটি কর্মী সম্মেলনে গিয়েই জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। আর এবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার কর্মী সম্মেলন থেকে ফের আরও একবার দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “কারও ঔদ্ধত্য মেনে নেওয়া হবে না। যারা অঞ্চল প্রধান রয়েছেন, তারা যদি ভেবে নেন, আমরাই অঞ্চলের সব তাহলে না মানুষ মানবে, না দল। আপনি যদি কথা না শোনেন, মানুষ মানবে না। আমরাও মানব না।” আর এরপরই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “আমি দলের পক্ষ থেকে বলছি যদি আমার দলের কোনো কর্মী অন্যায় করে থাকে, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা পঞ্চায়েতের ভোট নয়, জেলা পরিষদের ভোট নয়। মিউনিসিপালিটির ভোট নয়। সবাই মমতা ব্যানার্জির পাশে থাকুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় না থাকলে বাংলায় অন্ধকার নেমে আসবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ এই রকম ভাবে কর্মীদের সতর্ক করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা কেন দিলেন অনুব্রত মণ্ডল? একাংশের মতে, বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল চাইছে, স্বচ্ছতা অবলম্বন করে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে। তাই যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই কেউ যাতে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তার জন্য দলের কর্মীদের বার্তা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অনুব্রতবাবুর এই বক্তব্যের পর কর্মীরা কতটা সচেতন হয়ে পথ চলেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -