N-95 মাস্কেও লুকিয়ে আছে মহাবিপদ? স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি চরমে! অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য July 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছেন সাধারণত করোনা এড়াতে দূরত্ববিধির সাথে সাথে মেনে চলতে হবে ড্রপলেট আটকানোর বিধি নিষেধ। আর তার জন্য একান্ত প্রয়োজন হয় মাস্কের।প্রথম থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা N95 মাস্কের উপরেই জোর দিয়েছেন বেশি। যদিও মাস্ক পড়া নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক উঠে এসেছে। একসময় বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছিলেন শুধুমাত্র কোন আক্রান্ত যারা তাঁরাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। বাকিদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর প্রত্যেককে মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মহল। তবে এবার N 95 মাস্ক নিয়ে বড়োসড়ো সতর্কবার্তা এল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভালভ রেসপিরেটার লাগানো মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রকের দাবি, সঠিক ব্যবহার না হলে এই মাস্ক বিপদ ডেকে আনতে পারে। অন্যদিকে এই মাস্কের স্যানিটাইজের বিশেষ পদ্ধতি না মানলে সংক্রমণ যে আরো ছড়িয়ে পড়বে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস রাজীব গর্গ। তবে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাইরে বেরোলে ঘরে তৈরি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস রাজিব গর্ব জানাচ্ছেন, যে ধরনের মাস্ক ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে সেই মাস্ক ব্যবহার করাই সবথেকে বেশি নিরাপদ। সেক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বা ফেব্রিক মাস্কের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বেশি। বলা হচ্ছে, প্রতিবার ব্যবহারের পর গরম জলে অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে ব্যবহৃত মাস্ককে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে চলার সাথে সাথে পরিচ্ছন্ন থাকাটাও বিশেষ জরুরী বলে মনে করা হচ্ছে। হটস্পট চিহ্নিত এলাকাগুলিতে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা যেখানে অসম্ভব হয়ে পড়ছে, সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল জনবহুল এলাকায় ব্যবহার করতে হবে ফেব্রিক মাস্ক। মেডিকেল বা সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে না করা হয়েছে। কারণ এই মাস্কগুলিতে শুধুমাত্র একটাই লেয়ার থাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু ফেব্রিক মাস্কে থাকে তিনটি বিভিন্ন উপাদানের লেয়ার। যে কারণে ফেব্রিক মাস্ককে থ্রী লেয়ার মাস্কও বলা হয়। থ্রী লেয়ার মাস্কের বাইরের স্তরে থাকে ওয়াটারপ্রুফ সিনথেটিক মেটিরিয়াল যা পলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরি। এর কাজ হলো ভাইরাস ড্রপলেটকে আটকে দেওয়া। এই স্তরকে ভেদ করে ভাইরাস নাক-মুখ অব্দি পৌঁছাতে পারেনা। আউটার লেয়ারের এর ভেতরে আরেকটা পলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরি লেয়ার থাকে অনেকটা ছাঁকনির মতন। কোনো কারণে যদি আউটার লেয়ার অতিক্রম করতে পারে ভাইরাস ড্রপলেট, তাহলে তাকে ছেঁকে বার করে দেয় মিডল লেয়ার। এবং প্রথম লেয়ারটি তৈরি হয় সুতির উপাদান দিয়ে যা চূড়ান্ত পর্যায়ের ফিল্টারের কাজ করে।তাই এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে কারণ এগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের N95 নিয়ে বাধানিষেধের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একসময় এই N95 ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল সবথেকে বেশি। গ্রাহকরাও সুরক্ষাবিধি মানার জন্য N95 মাস্ককেই প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখেন। বর্তমানে অবশ্য বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মাস্কের ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে হচ্ছেনা। করোনা যেভাবে প্রতিদিন রেকর্ড হারে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে, তার হাত থেকে বাঁচতে গেলে দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী করছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তবে সর্বক্ষেত্রেই বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেখা যাচ্ছে বর্তমানে সমস্ত বিধিনিষেধ মানলেও করোনা ছড়িয়ে পড়ছে প্রবলভাবে। আপনার মতামত জানান -