নির্বাচনটা যে সহজ হবে না খোদ বালুরঘাটের বুকে কর্মীসভায় টের পেয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য March 31, 2019 প্রথমে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিদায়ী সংসদ অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী করা হলে তিনি ঠিকমতো জয়লাভ করতে পারবেন কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী বদলের আবেদন জানান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র। এমনকি পুনরায় সেই অর্পিতাদেবীকেই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে প্রকাশ্যে অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও দেখা যায় বিপ্লব বাবুকে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্তমানে সব ভুলে একজোট হয়ে সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র এবং তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ জোর প্রচার চালালেও দলীয় নেতাকর্মীদের গোষ্ঠী কোন্দলই এখন ভাবাতে শুরু করেছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভবিষ্যৎকে নিয়ে। জানা যায়, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। আর সেখানেই অর্পিতাদেবীর সামনে বালি ব্যবসায়ীদের একাংশ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, পুলিশ তাদের বালি সহ ট্রাক বারবার আটকাচ্ছে। আর বালি ব্যবসায়ীদের এহেন ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন অর্পিতাদেবী। তবে এই ব্যাপারে অবশ্য কোনরূপ মুখ খুলতে চাননি তিনি। তবে শুধু বালি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়াই নয়, শুক্রবারের পর শনিবার বালুরঘাট পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি এবং বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে দলীয় বৈঠকে ক্ষোভ-বিক্ষোভকে সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, শনিবার বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি সভাগৃহে বালুরঘাট শহরে 25 টি ওয়ার্ড কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাটে প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী, তপনের বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা সহ অন্যান্যরা। আর এই বৈঠকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতিরা সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগরে দেয়। শুরু হয় প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু বিগত 2016 বিধানসভা নির্বাচনে বালুরঘাটে শংকর চক্রবর্তী হেরে যাওয়ার পেছনে বালুরঘাট পৌরসভায় লিড না থাকার ব্যাপারটিও এদিন তুলে ধরেন অর্পিতা ঘোষ। দলের প্রতিটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সভাপতিদের বিবাদ মিটিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে তারা লিড দেন তার বার্তাও এদিনের সভা থেকে দেন দলীয় প্রার্থী। এদিকে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেরে অর্পিতা ঘোষ সভাস্থল ত্যাগ করার পর অনেক ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ফের কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষন ধরে বৈঠক করেন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার ভোগাতে পারে তৃনমূলকে। আর যার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট শহরে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। আর তাই গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে মাথায় রেখে ভবিষ্যতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল যাতে আর সেরকম না হয় তার জন্য এখন থেকেই বালুরঘাট শহরের সমস্ত ওয়ার্ড সভাপতি ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে সকলকে সতর্ক করে দিলেও শেষ পর্যন্ত অর্পিতাদেবী বালুরঘাট শহর থেকে লিড পান কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকেই। আপনার মতামত জানান -