এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > “এই তৃণমূল আর না” গান চালিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার গাড়ির সামনে নাচ বিজেপি কর্মীদের

“এই তৃণমূল আর না” গান চালিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার গাড়ির সামনে নাচ বিজেপি কর্মীদের

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের ফল খুব একটা ভাল হয়নি। বরঞ্চ বিজেপি বাংলা দখলের টার্গেট নিয়ে 2 থেকে বাড়িয়ে তাদের আসন সংখ্যা 18 করে নিয়েছে। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরই দিকে দিকে শাসকদলের পার্টি অফিস দখল হয়ে যাওয়ার খবর আসতে শুরু করেছে। যা নিয়ে ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এমনকি গত শনিবার কালীঘাটের বাসভবন থেকে এই ব্যাপারে দলীয় কার্যালয়কে দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। আর সেইমতো পশ্চিম মেদিনীপুরে এই কার্যালয় উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। আর সেই পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করতে গিয়েই রীতীমতো বিপাকে পড়তে হল রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

সূত্রের খবর, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দখল হয়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয় উদ্ধার করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। আর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার কনভয়ের সামনে “এই তৃণমূল আর না” গান চালিয়ে বিজেপি সমর্থকদের উদ্দাম নৃত্য প্রদর্শন করতে দেখা যায়। আর এই ঘটনা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা যে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে একদা বাম প্রভাবিত এলাকায় ঘাসফুল ফুটেছে, সেখানেই রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী কনভয়ের পাশ দিয়ে “এই তৃণমূল আর না” গান চালিয়ে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা উদ্দাম নৃত্য পরিদর্শন করে তাদের সাহস দেখালেন, তাতে জঙ্গলমহলে যে বিজেপির শক্তি আরও বাড়তে শুরু করেছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

তবে নিজেদের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলি দখল করার পেছনে সিপিএমই দায়ী বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কেশপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম নেতারা বিজেপির পতাকা হাতে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করেছে। এই ঘটনায় কেশপুরের সিপিএম নেতা তরুণ রায় এবং ইন্তাজ আলীরা রয়েছে।”

তবে ভোট গণনার দিনই অসুস্থতার কারণে কেশপুরের সিপিএম নেতা ইন্তাজ আলী প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে কিভাবে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী সিপিএমের প্রয়াত নেতার বিরুদ্ধে দোষ চাপালেন তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!