প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাত পোহালেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম এবার স্থির করে দেবে, কারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং দুই দলকে টেক্কা দিতে উপস্থিত সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের প্রচার শেষ হয়েছে তবে প্রচার পর্ব শেষ হলেও অভিযোগ থামছে না কিছুতেই। এবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। আজ নন্দীগ্রামের বাড়ি থেকে জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় এই অভিযোগ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বহিরাগত গুন্ডারা নন্দীগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। গতকাল রাত থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে দল। আশা করি, নন্দীগ্রামে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে কমিশন।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হাইপ্রোফাইল নেত্রীর গলা থেকে এই ধরনের অভিযোগ আসায় রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশ বলছেন, এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ করা হত। কিন্তু এবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী এই অভিযোগ করায় তিনি কি পরাজিত হওয়ার ভয়ে এখন থেকে এই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রচারের শেষ দিনে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। যেখানে তার গাড়িকে লক্ষ্য করে কিছু ব্যক্তি “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ার পরে বহিরাগতদের কাজ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

পরবর্তীতে নন্দীগ্রামে অশান্তি তৈরীর চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর এবার নির্বাচনের আগের দিন যখন প্রচার পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, তখন আবার নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতদিন এই ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করতে দেখা যায়নি, সেই তিনি কেন এখন বহিরাগতদের দাপাদাপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন!

সেটাই এখন বড় সংশয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, নন্দীগ্রামে জয়লাভ করা তার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। তাই নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এখন থেকে বহিরাগতদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন তিনি। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।