এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি বৈশাখী ‘মধুচন্দ্রিমা’ কি শেষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে জল্পনা

বিজেপি বৈশাখী ‘মধুচন্দ্রিমা’ কি শেষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে জল্পনা


সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় হাত ধরে বিজেপিতে প্রবেশ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দুঃসময়ে সর্বক্ষণ পাশে ছিলেন তিনি বন্ধু হয়ে। এমনকি স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা সত্বেও তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপিতে চলে আসেন।কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে আগমনের একমাসও সম্পন্ন হয়নি, এরমধ্যেই বিজেপির অন্দরে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে উঠেছে বিতর্ক।

এই বিতর্কের সূত্রপাত গত 14 ই আগস্ট। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য শোভন-বৈশাখী দিল্লি পৌঁছালে তাদের সাথে তৃণমূলের আরেক বিধায়ক দেবশ্রী রায় সেই জায়গায় পৌঁছান এবং দেবশ্রীকে দেখামাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন দেবশ্রী রায় যদি বিজেপিতে যোগদান করেন তাহলে তিনি এবং বৈশাখী অনুমতি বিজেপিতে যোগদান করবেন না।

এরপরের বিতর্কের সূত্রপাত গত 20 শে আগস্ট। সেদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং সেখানে উপস্থিত থাকেন সমগ্র সংবাদমাধ্যম কিন্তু বিজেপির এই আমন্ত্রণপত্রে কোথাও ছিল না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নাম জানিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিযোগও করেন অবশেষে কেন্দ্র নেতৃত্বে হস্তক্ষেপে আমন্ত্রণপত্রে তার নাম যোগ হয় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তাকেও এই সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও এর মাঝে দিলীপবাবু বিষয়টিকে হালকা করতে গিয়ে বৈশাখী দেবী ও শোভনবাবুকে একসাথে ডাল ভাতের সঙ্গে তুলনা করলেও বেজায় চটে যান বৈশাখী দেবী। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে সরাসরি দিলীপবাবুকে জবাব দিতে দিতেও ছাড়েননি তিনি। আর সে নিয়েও বিজেপির এবং দিলীপবাবুর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তবে এখানেই শেষ নয়। সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ছিল এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেই বৈঠকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকতে গেলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাকে বাধা দেন। এই বাধা পেয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

শোনা যাচ্ছে বৈশাখী দেবীও বিজেপিতে শোভনবাবুর সমকক্ষ হতে চাইছেন এবংশোভনবাবুর মতই গুরুত্ব পেতে চাইছেন। তিনি নাকি পেতে চাইছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। যা তাকে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই বিজেপির অন্দরে উঠেছে আওয়াজ। আর এই নিয়েই নাকি বৈশাখীদেবী ও শোভনবাবুর অভিযোগ যে তাঁরা বিজেপিতে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না। আর এই নিয়েই নাকি মান ভাঙাতে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক ও বিজেপি নেতৃত্ব শোভনবাবুর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন।

এদিকে বৈশাখীকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। একদল জানাচ্ছে, রাজনীতিতে পোর খাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় কে যতটা গুরুত্ব দেওয়া যাবে, একদমই আনকোড়া বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিতর্কে অন্য দলের বক্তব্য, যদি সদ্য যোগদানকারী ভারতী ঘোষ সহ-সভাপতির পদ পেতে পারেন তাহলে বৈশাখী কেন নয়??

দ্বিতীয় দলের বক্তব্যকে খন্ডন করেছে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভারতী ঘোষ লোকসভা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে যেভাবে দলের হয়ে কাজ করে গেছেন তা প্রশংসনীয়। কোন রকম পদের আশা না করেই তিনি তার কাজ করে গেছেন।

বুধবার রাতে বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন এবং জয়প্রকাশ মজুমদার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানে চলে বৈঠক। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর দাবি যে কোন ভাবেই মানা সম্ভব নয় বিজেপি শিবিরের পক্ষে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় কে। এবং এরপরই বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন।বিজেপির এই সিদ্ধান্তে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কি করতে চলেছেন তার দিকে তাকিয়ে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!