এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বালুরঘাটেও কি দ্রুত বিজেপির জমি সরছে? গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

বালুরঘাটেও কি দ্রুত বিজেপির জমি সরছে? গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা


2019 এর লোকসভা ভোটে বালুরঘাট হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। রীতিমতো পায়ের তলার জমি শক্ত করে বালুরঘাটে বিজেপি আসন দখল করেছিল। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কোণঠাসা অবস্থায় থাকার পর এবার উপনির্বাচন ছিল তা‌ঁদের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট আর এই প্রেস্টিজ ফাইটে রীতিমতো লড়াই করে করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরে তৃণমূল হইহই করে জয়লাভ করে। এর ফলে 2021 এর বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, উপনির্বাচনের পর বিজেপি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ। এবার তাই 2019 এর লোকসভা ভোটের পর যে অঞ্চল গুলি বিজেপির নিজের দখলে পড়েছে, সেগুলিকে দখলে রাখতে জোর সাংগঠনিক প্রচার চালানো শুরু করেছে তাঁরা।

2019 এর লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল দ্বারস্থ হয় প্রশান্ত কিশোরের। প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যে শুরু হয় ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি। ঠিক একই ভাবে বিজেপিও শুরু করে চায়ে পে চর্চা। এবার ‘দিদিকে বল’ অনুসরণ। করে রবিবার বালুরঘাট পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডে মানুষের সমস্যা শুনতে পথে নেমেছিল বালুরঘাট বিজেপি সদস্যরা। এদিন বিজেপির টাউন সভাপতি সুমন বর্মন এর নেতৃত্বে ওয়ার্ডের একাধিক নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যা মন দিয়ে শোনেন। অন্যদিকে, সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় প্রত্যেকের মনেই এনআরসি নিয়ে ভীতির সঞ্চার হয়েছে আর সেই ভয়কে দুর করার কাজে লেগেছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বালুরঘাটে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজেপি এনআরসি প্রসঙ্গে মানুষকে সচেতন করে। তাঁরা বলেন, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরো বলেন, এনআরসিতে এদেশের নাগরিক যাঁরা আছেন, তাঁদের কারো নাম বাদ যাবেনা। বিস্তারিতভাবে বাসিন্দাদের এনআরসি সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এলাকার মানুষদের মূল অভিযোগ শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে, কাটমানির বিরুদ্ধে। প্রচারে বিজেপির নেতারা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তৃণমূল নেতাদের দিকে তুলে তাঁরা বলেন, এলাকায় শাসকদলের নেতারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছেন। এ প্রসঙ্গে সুমন বাবু বলেন, ‘আমরা শহরে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি আমাদের কথা বলব। আগামীতে শহরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একইভাবে প্রচার করে সংগঠন শক্তিশালী করাই আমাদের এখন মূল লক্ষ্য।’

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, উপনির্বাচনে হার হলেও, বিজেপি শিবির যেভাবে আগামীদিনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে একমাত্র লক্ষ্য করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তাতে তাঁদের সংগঠন অনেক বেশী মজবুত হওয়ার পথে। অবশ্য অন্যদিকে শাসক শিবিরও পিছিয়ে নেই। তাঁদের ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি সমানতালে চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল তাঁদের এক্সট্রা অক্সিজেন প্রদান করেছে। আপাতত রাজ্যের যুযুধান দুই শিবির পরবর্তী কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে জনগণের মন পেতে, সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!