এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার রাজনীতিতে বর্তমানে অন্যতম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে দলবদলের খেলা

বাংলার রাজনীতিতে বর্তমানে অন্যতম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে দলবদলের খেলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক অলিন্দে দলবদল খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলেই ধরে নেওয়া হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কিন্তু দেখা যাচ্ছে বড়সড় দলবদল ঘটছে বাংলার রাজনীতিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে কৌতূহলের শেষ নেই রাজনৈতিক প্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বসাধারণ। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে 10 বছর ধরে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসনকার্য চালাচ্ছেন। আর তাই রাজ্যের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপি- দুজনের কাছেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একদিকে, বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ যেমন দীর্ঘ দশ বছরের শাসন ক্ষমতা ভেঙে দেওয়ার, ঠিক তেমনি অন্যদিকে তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ ধরে রাখা- সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতিতে এইমুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। কিন্তু এই উত্তেজনা আরো বেড়ে গিয়েছে দলবদলের রাজনীতিতে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি কিংবা বিজেপি থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস থেকে বিজেপি, কংগ্রেস থেকে তৃণমূল এরকম বিভিন্ন দল থেকে বিভিন্ন দলে ঘোরাফেরা করছেন নেতারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন যত কাছে আসবে ততই দলবদলের খেলা বেড়ে যাবে।

বর্তমানে দলবদলের খেলায় সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বর্তমানে বিজেপির অন্যতম সদস্য হিসেবে দলে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে ভর করেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুরে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার দলবদলের সূত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর। তবে দলবদল নিয়ে আলোচনা চললেও এই দলবদল কিন্তু আজকে নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির প্রতিটি পটভূমিকায় দলবদলের ইতিহাস দেখা যাবে। বাংলার বুকে প্রথমবার স্বাধীনতার পর 1952 সালে দলবদল ঘটে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে সময় ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে চার বিধায়ক যোগদান করেছিলেন কংগ্রেসে। সেই থেকে শুরু- এরপর 1967 সালে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ যুক্তফ্রন্ট সরকার থেকে বেরিয়ে যান। একাধিক বিধায়কসহ তিনি তখন যোগদান করেন প্রোগ্রেসিভ যুক্তফ্রন্টে। এরপর 1977 সাল থেকে শুরু হয় বাম জমানা। সেসময় অবশ্য দলবদলের সেরকম ঘটনা ঘটেনি বাংলায়। তবে তারপর দুই দশক যেতে না যেতেই নতুন করে দলবদল শুরু হয়। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যান বর্তমান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কয়েক বছরের মধ্যে কংগ্রেসের অসংখ্য নেতাকর্মী গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

ফলস্বরূপ, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করে। যথারীতি এরপর বিভিন্ন দলের সর্বস্তরের নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। এরপর 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা যায়, ব্যাপক আকারে দলবদল শুরু হয়েছিল। তৃণমূল থেকে বহু মানুষ বিজেপিতে গেছে। বিজেপি থেকেও অনেকে এসেছে তবে সেটা বেশীর ভাগ নিচুতলায় হয়েছিল। কিন্তু এবার হেভিওয়েট নেতারা শুরু করেছেন দলবদল। এবং তা যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে সে কথা বলাই বাহুল্য।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এ কথা কেউই বলতে পারেননা নির্দিষ্ট করে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই জিতবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যে দল ক্ষমতা পাবে, অবশ্যম্ভাবী তার দলে গিয়ে আবারও ভিড় জমাবে অন্যান্যরা। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে দলবদলের এই ধারা চিরকালীন, বরাবর বজায় থাকবে। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ কে দখল করে, সেদিকেই এখন নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!