এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বাংলার সংগঠনের হাল ফেরাতে নয়া টিম বিজেপির, জেনে নিন!

বাংলার সংগঠনের হাল ফেরাতে নয়া টিম বিজেপির, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যত সময় যাচ্ছে, ততই জল্পনা বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলার সংগঠনকে কেন্দ্র করে। কোন পথে এগোচ্ছে বিজেপির বাংলার সংগঠন? ভোটে বিপর্যয়ের পর নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। চুলচেরা বিশ্লেষন হয়েছে। একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। কখনও বা প্রার্থী চয়ন নিয়ে, আবার কখনও বা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক স্থিতাবস্থা যদি আগেকার মতই থাকে, তাহলে যে কোনোভাবেই বিরোধী দল হয়ে তৃনমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না, তা ভালোই বুঝতে পারছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

ভোটের ফলাফলে কার্যত স্পষ্ট যে, দিলীপ ঘোষের সেনাপতিত্বে বাংলায় বিজেপি খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তাই ফলাফলের পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে অনেকেই আড়ালে-আবডালে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত করে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক জোর থেকে অনেক বেশি শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মনে করছেন একাংশ। আর সেই কারণে সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। তার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

পাশাপাশি বাংলা থেকে নির্বাচিত বিজেপির একাধিক সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা হয়েছে অমিত শাহের। যাদের সিংহভাগ শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছেন। আর এই সমস্ত ঘটনা এবং পরম্পরা আগামীদিনে শুভেন্দু অধিকারীকে মাথায় রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার সংগঠনকে আরও চনমনে করে তুলতে নতুন টিম গঠন করে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়েছেন। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছেন তিনি। পরবর্তীতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং শেষে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে তাকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির এই তিন হাইপ্রোফাইল নেতার সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা এবং বাংলায় হিংসার কথা তুলে ধরে যেমন তৃণমূলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন, ঠিক তেমনই তার কাছে সাংগঠনিক ব্যাপারেও খোঁজখবর নিতে চেয়েছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আর আভ্যন্তরীণ সেই বৈঠকের কথা শুভেন্দু অধিকারী বাইরে না বললেও, ভেতরে ভেতরে যে তিনি বাংলার সংগঠন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কিছুটা হলেও আভাস দিয়েছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে উপস্থিত হওয়ার পরেই বাংলা থেকে আরও তিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংহ এবং নিশীথ প্রামাণিক দিল্লিতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। যে ঘটনা জল্পনা ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিজেপির সিংহভাগ নেতা-নেত্রী চাইছেন, এই সময় এমন কাউকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হোক, যিনি দাপটের সঙ্গে দল পরিচালনা করতে পারবেন। দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত দক্ষ হাতে এতদিন দল পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু তার নানা বিতর্কিত মন্তব্য বাংলার মানুষ ঠিকমত গ্রহণ করেননি। এমনকি ভোটের ফলাফলের পর কর্মীদের বিক্ষোভ ঠিকমত সামাল দিতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ।

পাল্টা এমন কিছু মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তাকে, যা দলীয় নেতৃত্বকে অস্বস্তির মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যেমন বিরোধী দলনেতা, ঠিক তেমনই তাকে সংগঠনের মাথা করলে দল অনেক শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। আর রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে এই বার্তা দিল্লিতে পৌঁছেছে বলেই শুভেন্দু অধিকারীকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের।

ইতিমধ্যেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে বড় কোনো সুখবর নিয়ে আসতে পারেন। আর যদি শুভেন্দু অধিকারীকে সংগঠনের বড় কোনো দায়িত্ব দিয়ে দেয় ভারতীয় জনতা পার্টি, তাহলে তার সাথে একটি শক্তিশালী টিম বাংলার সংগঠনে যে বড় ভূমিকা পালন করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার মধ্যে থাকতে পারেন বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহ থেকে শুরু করে নিশীথ প্রামানিক সৌমিত্র খাঁ-এর মত নেতা-নেত্রীরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভাল করেই জানেন, দলে ভাঙন কিভাবে আটকাতে হয়! তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় এই কৌশল খুব ভালো করেই প্রয়োগ করেছেন তিনি। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে ফুটিয়ে দিয়েছেন ঘাসফুল। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি বহু চেষ্টা করেও, যখন রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি, তখন অনেকে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সংগঠনের দায়িত্ব দিলে তিনি সেই বিদ্রোহীদের মান ভাঙিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূলের ঘর ভাঙ্গাতে বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন।

আর তাই দিলীপ ঘোষকে না জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে পৃথকভাবে দিল্লিতে ডেকে তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা সেরে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অর্থাৎ দায়িত্ব দেওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী কতটা সেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, বিধানসভার ভেতরে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাইরে সংগঠনের হাল ফেরাতে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন, তা এখন থেকে বুঝে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহরা। সব মিলিয়ে ভোটে ভরাডুবির পরই শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপির নতুন সাংগঠনিক টিম তৈরি হওয়ার জল্পনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!