এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় বিরোধী ভোট কতটা? এখনো আতান্তরে বঙ্গ বিজেপি, চলছে সমীক্ষা

বাংলায় বিরোধী ভোট কতটা? এখনো আতান্তরে বঙ্গ বিজেপি, চলছে সমীক্ষা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই এরাজ্যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একের পর এক পরিকল্পনা ছকতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এককথায় বিহারের জয় বাংলায় নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর এ রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিচ্ছবি কি আদৌ বাংলায় কাজ করবে? কারণ এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন বিহারে প্রশাসন বিরোধী হাওয়া বয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও বিহারে এনডিএ জোট ব্যাপকভাবে জিতেছে। এ রাজ্যেও বিরোধীদের প্রচারের মুখ্য অংশ হলো প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা জাগিয়ে তোলা জনমানুষের মধ্যে।

কিন্তু আক্ষরিক অর্থে তা কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি-র অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বুধবার দিনভর টুইটারে সক্রিয় ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা এবং সাংসদরা। ‘এবার বাংলা পারলে সামলা’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে একের পর এক পোস্ট করে গিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে কোচবিহারের জনসভায় এদিন দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের সভায় কোচবিহারে ভিড় হয়েছিল যথেষ্ট ভালো। কিন্তু এসব কিছুর আড়ালে রাজ্য বিজেপির অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোটের অংকে নির্ভর করে কতদূর জয়ের আশা করা যায়? বিহারের আমজনতার কিন্তু একটা বড় অংশ নীতিশ প্রশাসনের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিল।

আর সে কারণেই আশাবাদী ছিল বিরোধী মহাজোট। যদিও ফলাফল প্রকাশের পর অন্য ছবি প্রকাশ পেয়েছে। দেখা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত নীতীশ কুমারের সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিহারের মানুষ। আর তাই পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে, এ রাজ্যে বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাজে মানুষ ক্ষুব্ধ বলে প্রচার করলেও তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কতটা কাজ করবে? যদিও প্রকাশ্যে বিজেপির তরফ থেকে এ ধরনের কোনো শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছেনা। বরং রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু একযোগেই বলেছেন বিহারের ভোটে মানুষের প্রতিষ্ঠানবিরোধী মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে।

সে কারণেই নীতিশের দলের আসন কমেছে। অন্যদিকে বিজেপি নীতীশ সরকারের শরিক হলেও মানুষের কোনো অভিযোগ তাঁদের প্রতি ছিলনা। আর তাই বিহারে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে সার্বিকভাবে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের দাবি, মোদী ম্যাজিক কাজ করেছে বিহারের মানুষের ওপর। একই কথা বলছেন এ রাজ্যের সায়ন্তন বসুও। তিনি জানিয়েছেন, মোদি ম্যাজিকের ফলে বিহারের নীতীশ কুমারের সরকার এ যাত্রা বেঁচে গেছে। আর সেই ম্যাজিকের ওপর ভর করেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে প্রতাপ বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যেভাবে রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হয়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় বিহারে কিন্তু সেরকম কিছুই হয়না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিহারের জয়ের পরে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়,দলের আইটি সেলের সর্বভারতীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু একযোগে টুইট করে লিখেছেন- বিহারে যেভাবে বিজেপি জিতেছে বাংলাতেও সেভাবেই বিজেপি জিতবে এবং তা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে তৃণমূল বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপ্নকে পুরোপুরি অবিশ্বাস্য বলে উড়িয়ে দিয়েছে।এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা কিন্তু মেনে নিচ্ছেন নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে বিহারের মানুষের ক্ষোভ ছিল।

তাহলে মানুষের সাথে দ্বিচারিতা করে তাঁকে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কারণ কি? বরং বিজেপির সেখানে সৎ ভাবে বলা উচিত ছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বিহারে কাজ করেনি। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কাজ করবেনা। কারণ, এ রাজ্যে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মনোভাবই নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জোরদার তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল এবং রাজনৈতিক মহল একযোগে স্বীকার করে নিচ্ছেন, বিহারের রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশের কিন্তু আকাশ-পাতাল ফারাক।

বাংলায় বিরোধীরা প্রতিষ্ঠান বিরোধী প্রচার করলেও তা বাংলার মানুষের মনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ আছে। এর আগে 35 বছরের বাম আমলেও কিন্তু তৎকালীন বিরোধী তৃণমূল প্রবলভাবে বাম অপশাসনের প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে ফল কিছুই হয়নি। যদি সিঙুর কান্ড কিংবা নন্দীগ্রামের ঘটনা না ঘটত তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাম শাসনের অবসান ঘটত কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিধানসভা মসনদ দখল করতে গেলে গেরুয়া শিবিরকে যে পুরোপুরি অন্য আঙ্গিকে চিন্তাভাবনা করতে হবে সে ব্যাপারে একমত বাংলার রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!