ব্যাঙ্কিং সেক্টরে আসছে বড়সড় পরিবর্তন? চারটি বড় ব্যাঙ্ক ছাড়া বাকি সব বিক্রি করে দেবে কেন্দ্র? জাতীয় বিশেষ খবর September 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনিতেই সঞ্চয় এর ভাঁড়ার এখন কমার দিকে। সমস্ত ব্যাংকের সুদ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। সাধারণ মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখার আগে একশোবার ভাবেন। এই অবস্থায় মোদি সরকার দেশের অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য ঘোষণা করে দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এবার বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে পরস্পরের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তৈরি হয়েছে চারটি ব্যাংক। জানা গেছে, আগামী মার্চের মধ্যেই বেসরকারিকরণের ব্যাপারটি পুরোপুরি মিটিয়ে নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ক্রমশ ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে এবার সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানা গেছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এবার আরও কিছু ব্যাংককে পরস্পরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা চলছে। তার সাথেই স্বেচ্ছা অবসর সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে বলে জানা গেছে। তবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প ঘোষণা করেছে। অন্যান্য ব্যাংকগুলোও এই প্রকল্প ঘোষণা করার পথে। সূত্রের খবর প্রশাসনিক বোঝা কমাতে ব্যাংঙ্কিং সংস্কার করা হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত নীতি আয়োগ একটি রিপোর্টও তৈরী করে ইতিমধ্যেই সরকারকে জমা দিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, দেশজুড়ে মোট চারটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যাংক থাকবে সরকারের অধীনে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক। বাকি সবগুলি বেসরকারি হাতে যাবে। তার মধ্যে অবশ্য পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইউকো ব্যাংক ইতিমধ্যেই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইডিবিআই এরও যে বেসরকারিকরণ করা হবে তা আগেই জানা। এবং অন্যান্য ব্যাংকের কিছু শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে কর্পোরেট পদ্ধতিতে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে অবশ্য 26% শেয়ার বিক্রি হবে অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির। এই ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে সেগুলোও মিশিয়ে দেওয়া হবে চারটি প্রধান ব্যাংকের সঙ্গে। তবে সব ব্যাংকে এই মুহূর্তে শুরু হতে চলেছে স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প। ইতিমধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক সেকেন্ড ইনিংস ট্যাপ ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম ঘোষণা করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্প তিন মাসের জন্য চালু থাকবে। যারা আগ্রহী তাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পের ফলে যতদিন চাকরির মেয়াদ থাকবে সেই সময়সীমার মোট প্রাপ্ত বেতনের 50 শতাংশ দেওয়া হবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক হিসেবে। যদিও বিভিন্ন কারণে গত 5 মাসে স্বেচ্ছাবসর সংক্রান্ত আবেদন স্টেট ব্যাংকে জমা পড়েছে বেশ ভালো পরিমাণে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী দিনে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির কর্মীদের বয়স কমিয়ে আনারও লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর সাথে সাথে ব্যাঙ্ক কর্মী এবং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। এর সাথেই ডিজিটাল ফ্রড, লোন ট্র্যাকিং ইত্যাদি বিভাগকে শক্তিশালী করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক। সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের অর্থ মন্ত্রকের কাছে ব্যাংক বেসরকারিকরণ ও সংস্কারে দেরি হচ্ছে কেন তা জানতে চাওয়া হয়। এরপরই দ্রুত পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে চাইছে নীতি আয়োগ ও অর্থমন্ত্রক। অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে বেসরকারিকরণ হলে কি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে কোনো বেসরকারি ব্যাংক? যেভাবে দিনদিন ব্যাংক দুর্নীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, সাধারণ মানুষ তাতেই ভয় পাচ্ছেন ব্যাংকে টাকা রাখতে। অনেকেই মনে করছেন বেসরকারীকরণের ফলে দুর্নীতি আরো বাড়বে, আর তাতে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থার অনেকেই ব্যাংক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ইতিমধ্যে। যদিও তাতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বদলাবার কোন লক্ষণ এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। বরং সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিকেই দ্রুত কয়েক ধাপে এগোতে দেখা যাচ্ছে দেশকে। আপনার মতামত জানান -