এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আনিসুর কান্ডে নয়া অস্বস্তিতে তৃনমূল, বাড়ছে ধন্দ

আনিসুর কান্ডে নয়া অস্বস্তিতে তৃনমূল, বাড়ছে ধন্দ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসকে বড় বার্তা দিয়ে দিল কোলকাতা হাইকোর্ট। জানা গেছে, এবার আনিসুর রহমানকে এবার গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্বভাবতই নির্বাচনের মুখে এই ধরনের ঘটনা যে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা ক্রমশ বাড়িয়ে দেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2019 সালে শারদ উৎসবের সময় নবমীর রাতে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কুরবান শাহ খুন হয়েছিলেন।

আর এরপরই আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একসময় আনিসুর রহমান তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলেও, পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। আর সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তার দ্বৈরথ বাড়তে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন আনিসুর রহমান তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে সেই আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকারকে চরম চাপে ফেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেখালিতে সভা করার সময় এই আনিসুর রহমানের নাম নেন। যেখানে তিনি একসময় মোটরবাইক করে তিনি নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন বলে আনিসুর রহমানের কথা তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এর পরেই গুঞ্জন ক্রমশ তীব্র হতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, গত 26 শে ফেব্রুয়ারি তমলুক আদালতের রাজ্যের পক্ষ থেকে আবেদনে সাড়া দিয়ে আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তোলা হল প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কুরবান শাহের ভাগ্নে জহর শাহ বলেন, “একজন মানুষকে খুন করার মতো জঘন্য কাজ যিনি করেছেন, তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কি করে সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়? তাহলে তো আইন ব্যবস্থার উপর সবার আস্থা হারিয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে এই বিষয়ের উপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত।” আর এর পরেই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে আনিসুর রহমানের জামিনের বিরুদ্ধে কেন মামলা প্রত্যাহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার, সেই ব্যাপারে তোলা হয় প্রশ্ন।

আর নির্বাচনের মুখে এইভাবে একসময় আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও, কেন এখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বর্তমানে এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীরা যে রাজ্যের শাসক দলকে আরও চেপে ধরবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার ফলে নির্বাচনের মুখে ব্যাপক চাপে পড়তে পারে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!