এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রে সংগঠন বাড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশেষ পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের

বাংলার প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রে সংগঠন বাড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশেষ পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকেই পাখির চোখ করেছেন বিজেপি। রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 22 টি আসন নিজেদের দখলে রাখার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রের মোদী-শাহ জুটি। কিন্তু শুধু মুখে বললেই যে এই বিপুল জয় লাভ সম্ভব নয় তা বেশ ভালই জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

আর তাইতো এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে নিজেদের সংগঠনকে বৃদ্ধি করার জন্য কল সেন্টার তৈরি করার পথে হাঁটছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে কল সেন্টার খুলতে চাইছে বিজেপি।

যেখানে একটি নম্বরে মিসড কল দিতে হবে সমস্ত গেরুয়া শিবিরের অনুগামীদের। আর কারা কারা এই কল সেন্টারে সাড়া দিচ্ছেন তার ওপরে নির্ভর করেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবে বিজেপি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2016 র বিধানসভা ভোটের আগে “মিসড কল করে বিজেপির সদস্য হন” এইরূপ একটি চমক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। যেখানে প্রচুর সাড়া পড়লেও তেমনভাবে বিধানসভা নির্বাচনে অতটা ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। এখন বিভিন্ন জেলায় নিজেদের দলীয় সংগঠনকে বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাইতো এবারে আইটি সেলকেও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি আইটি সেলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে কমপক্ষে 700 টি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ বানানো হবে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির আইটি সেল ইন-চার্জ কৃশানু সিং বলেন, “সাত দিনের মধ্যে কল সেন্টার চালু করা হবে। আর সেখান থেকেই ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে ভোটারদের সাথে সংযোগ রাখার কাজ শুরু হবে।” একই কথা বলেছেন বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ও।

তবে বিজেপির এই সব কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “নোট বন্দি করে বিজেপির ঘরে হাজার হাজার টাকা ঢুকেছে। সেই টাকাই ওরা এখন এই ভাবে নষ্ট করছে। কল সেন্টার, মিসকল যাই করুক না কেন, মানুষ ওদের ত্যাগ করেছে।”

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন নির্বাচন ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ঠিক তখনই এই রাজ্যে দলের জনসংযোগ বাড়াতে গেরুয়া শিবিরের সেই “মিসড কল” প্রথাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!