সমভাবাপন্নদের এক ছাতার তলায় আনতে ও বাংলায় সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ সোনিয়া গান্ধীর জাতীয় রাজ্য September 10, 2019 দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল বিজেপি। সেক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্যও পেয়েছিল তারা। তবে সারাদেশের মধ্যে সবথেকে বেশি এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গেরুয়া শিবির সাফল্য পেয়েছিল বাংলা থেকে। আর এবার বিজেপিকে দমাতে এবং নিজেদের সাফল্য আনতে পুজোর পরেই বাংলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রদেশ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বকে পরিকল্পনা করে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী 2 অক্টোবর গান্ধীজীর জন্ম সার্ধশতবর্ষ এবং কিছুদিন পরেই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ায় সেই গান্ধীজীর জন্ম সার্ধশতবর্ষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কংগ্রেস এবং কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একজোট করে কিভাবে ভবিষ্যতে এগোতে হবে, তা নিয়েও একটি বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আগামী 12 সেপ্টেম্বর দেশের সমস্ত রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে একটি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। তবে বিজেপিকে মাত করতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী যেমন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কথা বলেছেন, ঠিক তেমনই এখন থেকে চাঁদা তোলার দিকেও জোর দিচ্ছে হাত শিবির। যার জন্য 50, 100, 200 ও 500 টাকার কুপন ছাপা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে ডেকে পুজোর পরেই যাতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে পড়া হয় এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কুপনও যে দিয়ে দেওয়া হবে তা জানিয়ে দিয়েছেন এআইসিসির সদস্য আহমেদ প্যাটেল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন, কংগ্রেস ক্যাডারকেন্দ্রিক দল না হওয়ায় তাদের সদস্য সংখ্যা কত তার কোনো হিসেব এআইসিসির কাছে নেই। ফলে কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ে এবং বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসের কমিটির হিসেব করেই নিজেদের সদস্য সংখ্যা বের করে নিতে হয় হাত শিবিরকে। এবারেও সেই নিয়মই রাখা হচ্ছে। তবে বাংলায় যেভাবে বিরোধী দলের আসন দখল করা কংগ্রেস বিচ্যুত হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এবং বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে, তাতে কিছুটা বাড়তি তৎপরতা নিয়েই এবার সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান এবং চাঁদা তোলার মধ্যে দিয়ে নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে চাইছে হাত শিবির। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রীর এই ফর্মুলা এখন কতটা কাজে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -