এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ মতুয়া ভোট! এনআরসি কে শ্রীখণ্ডি করে নয়া পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের,জোর জল্পনা

লক্ষ মতুয়া ভোট! এনআরসি কে শ্রীখণ্ডি করে নয়া পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের,জোর জল্পনা


 

প্রথম থেকেই এনআরসি বিরোধিতার পক্ষে নিজের মত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তার সেই বিরোধিতার সুর আরও চওড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কখনও পার্ক সার্কাস, কখনও ধর্মতলা, বিভিন্ন জায়গায় মিছিলে হেঁটে স্লোগান তুলছেন তিনি। দলকেও একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এই এনআরসি বিরোধী সভাকে সকলের সভা করে তুলতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী।

আর এবার এই নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মতুয়া সমাজের সমর্থন নিজেদের বাগে আনতে সেই এলাকায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা করল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, রাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এই নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে সমাবেশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, উত্তর 24 পরগনা এবং নদীয়ার তিনটি কর্মসূচিতেই উপস্থিত থাকবেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই নাগরিকত্ব আইনকে বাতিল করার প্রয়াস চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জায়গায় নতুন স্লোগান বেঁধে দিয়ে দলকে নানা কর্মসূচি দিচ্ছেন তিনি। আর এবার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তার এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, শুক্রবার তৃণমূল ভবনে একটি বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের এনআরসি বিরোধী কর্মসূচির ওপর আরও জোর দিতে বলেন তৃণমূল নেত্রী। যেখানে পয়লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে “নাগরিক দিবস” হিসেবে পালন করার কথা বলেন তিনি। শুধু তাই নয়, আগামী সোমবার এনআরসি বিরোধী সভার জন্য রাজ্যের সমস্ত মহকুমা সদরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সুপ্রিমো।

এছাড়াও আগামী 28 ডিসেম্বর রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের সদর শহরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিন দলকে কর্মসূচিতে বেঁধে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমাজের সব অংশের মানুষ প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। আমরা তৃণমূলের জন্য কথা বলছি না। আমরা নাগরিক হিসেবে নাগরিকের কথা বলছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনআরসি বিরোধী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের কন্ঠকে জোরালো করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। কেননা পাস হয়ে যাওয়া বিল যে অত সহজে বাতিল হবে না, তা খুব ভালো করেই জানেন তিনি। তবুও তা সত্ত্বেও তাঁর এই আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুললে, তার নেতৃত্ব সারাদেশে গ্রহণযোগ্য স্থানে পৌঁছে যাবে।

আর তা বুঝতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লাগাতার কর্মসূচি বলে মত একাংশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের এই কর্মসূচিকে সাধারণ মানুষের কর্মসূচির সঙ্গে মিলিয়ে দিতে কতটা সক্ষম হন তৃণমূল নেত্রী! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!